বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে বেশ ভুগতে হয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পেরেছে ১৪৩ রান।
ইনিংসের শুরুটা ছিল রীতিমতো দুঃস্বপ্নের মতো। দুই ওপেনার মাজ সাদাকাত ও হাবিবুর রহমান সোহান শূন্য রানে ফিরেছেন প্রথম দিকেই।
এরপর তিন নম্বরে নামা সৈকত আলী কিছুটা সময় টিকলেও আরেক প্রান্তে হায়দার আলীও খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন। ফলে শুরুর চার ব্যাটারের তিনজনই কোনো রান না করেই আউট হন। পাওয়ারপ্লে শেষে নোয়াখালীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে মাত্র ২৮ রান।
চাপের সেই মুহূর্তে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন সৈকত আলী ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।দুজন মিলে ধীরে সুস্থে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। ২৯ বলে ২৪ রান করে সৈকত বিদায় নিলেও অঙ্কন এক প্রান্ত আগলে রাখেন। মাঝখানে সাব্বির হোসেন ১৫ বলে ১৫ রান করে কিছুটা গতি আনার চেষ্টা করেন।
শেষ ভাগে ম্যাচের রূপ বদলে দেন জাকের আলী অনিক।
অঙ্কনের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি উইকেটের চারপাশে শট খেলতে থাকেন। পরিস্থিতি বুঝে ঝুঁকি নিয়ে রান বাড়ান জাকের। ১৭ বলে ২৯ রান করে শেষ দিকে আউট হলেও ততক্ষণে দলের স্কোর সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যান তিনি। অপরদিকে অঙ্কন ধৈর্যের সঙ্গে খেলতে খেলতে ফিফটির গণ্ডি পেরিয়ে যান। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫১ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেন তিনি।
সিলেট টাইটান্সের বোলারদের মধ্যে খালেদ আহমেদ ছিলেন সবচেয়ে সফল। তিনি একাই নেন ৪টি উইকেট। সাইম আইয়ুব পেয়েছেন ২টি এবং মোহাম্মদ আমির শিকার করেছেন একটি উইকেট।
সব মিলিয়ে শুরুতে ধাক্কা সামলেও অঙ্কন ও জাকেরের ব্যাটে ভর করে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ১৪৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।