বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত স্কুলছাত্র জুনায়েদ ইসলাম রাতুল (১২) মারা গেছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
রাতুল বগুড়া শহরের ঘোনপাড়া এলাকার মুদি দোকানি মো. জিয়াউর রহমানেরর ছেলে। সে বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
রাতুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর খবর শুনে বিকেলে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে আনন্দ মিছিলে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতুল। বিকেল ৪টার পর আনন্দ মিছিলটি যখন বগুড়া সদর থানার দিকে যায় এ সময় পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলি এসে রাতুলের মাথায় লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দু’দিন চিকিৎসার পর তার অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে। প্রায় ১ মাস ২০ দিন চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার ভোরে হাসপাতালে মারা যায় রাতুল।
তিনি আরও জানান, দুপুর ১২টার পর হাসপাতাল থেকে রাতুলের মরদেহ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে।
রাতুলের মা বলেন, ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে আনন্দ মিছিলে যাওয়ার আগে রাতুলকে বলেছিলাম, ‘বাবা বিকেলের নাস্তা খেয়ে যাও। জবাবে ছেলে বলেছিল, দেখি স্বৈরাচার হাসিনার শেষ পরিণতি কি হয়। শুধু দোয়া করো যেন সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে পারি। ’
এদিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জানাজা শেষে রাতুলের মরদেহ নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হয় পরিবার। নিজ এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।