News Headline :
বাঞ্ছারামপুরে সাফওয়ান বসুন্ধরা গ্লোবালের ৬ হাজার কম্বল বিতরণ

বাঞ্ছারামপুরে সাফওয়ান বসুন্ধরা গ্লোবালের ৬ হাজার কম্বল বিতরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার তিন উপজেলায় শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই মানবিক কার্যক্রমে সাফওয়ান বসুন্ধরা গ্লোবালের চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং সাফওয়ান বসুন্ধরা গ্লোবালের পরিচালক ইয়াশা সোবহানের অর্থায়নে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন।

ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে পুরো কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর এবং কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মোট ৮৭টি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

দুর্গারামপুর, পাড়াতলী ও পাহাড়িয়াকান্দি— এই তিনটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০টি গ্রামের হতদরিদ্র, অসহায় ও ভাসমান ভিক্ষুকদের হাতে হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। এ কার্যক্রমে মোট ৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

শীত মৌসুমে দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে এই উদ্যোগ স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। কম্বল পেয়ে উপকারভোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এমন মানবিক সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির বলেন, “শীত মৌসুমে সমাজের সবচেয়ে অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শীতার্ত মানুষ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। সাফওয়ান বসুন্ধরা গ্লোবালের অর্থায়নে এই মানবিক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের সহযোগিতা দরিদ্র মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করবে।

ভবিষ্যতেও বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অসহায় মানুষের পাশে থেকে নিয়মিত মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।”

দুর্গারামপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা নবী হোসেন বলেন, “শীতের এই সময়ে আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও আশপাশের অসহায় মানুষজন চরম কষ্টে দিন পার করছিল। সাফওয়ান বসুন্ধরা গ্লোবালের অর্থায়নে কম্বল বিতরণের এই মহতী উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। কম্বল পেয়ে শিক্ষার্থী ও দরিদ্র মানুষদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে। এমন মানবিক সহায়তার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।”

দুর্গারামপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবু হেনা (১০) বলে, “আমার কম্বলটা অনেক সুন্দর। এই কম্বলে আমার জার (শীত) কাটবো। যারা কম্বল দিছে সবার লাগি দোয়া করি।”

হোমনা উপজেলার হরিপুর গ্রামের রসূলা বেগম (৫০) বলেন, “জারে (শীত) রাইতে (রাত) ঘুমাইতে পারি না। এখন আর জার (শীত) লাগদ না। আল্লাহর কাছে যেরা কম্বল কিন্না দিছে হেরার লাগি দোয়া করি।”

নবীনগরের শ্যামগ্রামের জুমুর শাহা (৪৫) বলেন, “আমরা গরিব শীতে কাপড়চুপড় বেশি নাই। পুলাপাইন লইয়া কম্বলডাদা শীত কাটামু। ভগবানের কাছে সবার লাগি দোয়া করমু।”

বাঞ্ছারামপুর মাওলাগঞ্জ বাজারে মোছলেম (৬০) বলেন, “আমার দুইডা পাও (পা) নাই। হাঁটতে পারি না। জারের (শীত) মধ্যে বইয়া বইয়া ভিক্ষা করি। কম্বলডা পাওনে আর জার করতো না। যেরা কম্বলডা দিছে হেরার লাইগা দোয়া করি।”

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS