জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নিজ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করা সহকারী শিক্ষক আবদুল করিমকে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। ওই ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর ১০ মাস। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আজ বুধবার ঘটনাটি জানাজানি হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তের কথা লিখিতভাবে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইউএনও জান্নাত আরা তিথি প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করা ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। একই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ওই উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সহকারী শিক্ষক আবদুল করিম বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন। শিক্ষক-ছাত্রীর বিয়ের বিষয়টি এক সপ্তাহ আগে জানাজানি হয়। এ নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছিল। ওই ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর ১০ মাস। এটি বাল্যবিবাহের মধ্যেও পড়ে। এ ঘটনায় ১৩ জুন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা ডেকে ওই শিক্ষককে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছিল।
মোসাদ্দেক হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনায় গতকাল বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় শিক্ষক আবদুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোফাখারুল ইসলাম চৌধুরী। অন্য দুই সদস্য হলেন শিক্ষক প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন ও অভিভাবক সদস্য আফজাল হোসেন। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে তদন্ত কমিটি।
১৮ জুন প্রথম আলো অনলাইনে ‘জয়পুরহাটে “স্ত্রী অসুস্থ” অজুহাতে স্কুলছাত্রীকে বিয়ে শিক্ষকের’ শিরোনামে এবং পরদিন প্রথম আলোর ছাপা কাগজে ‘বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বিয়ে করলেন শিক্ষক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।