বিপিএলের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। তিন ম্যাচে এটি রাজশাহীর দ্বিতীয় জয়। বিপরীতে, আসরে অভিষেক হওয়া নোয়াখালী এক্সপ্রেস তিন ম্যাচ খেলেও এখনো জয়ের মুখ দেখেনি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে রাজশাহী প্রথমে নোয়াখালীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়।
নিয়মিত অধিনায়ক সৈকত আলীকে ছাড়াই হায়দার আলীর নেতৃত্বে মাঠে নামে নোয়াখালী। তবে শুরুটা মোটেও আশাব্যঞ্জক হয়নি। দুই ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান ও মাজ সাদাকাতের জুটি থামে মাত্র ১৮ রানে। ৬ বলে ৫ রান করে ফিরেন সোহান।
পাওয়ারপ্লের ছয় ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তুললেও সেই গতি ধরে রাখতে পারেনি নোয়াখালী। মাজ সাদাকাত ১৯ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও অধিনায়ক হায়দার আলী কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে চাপের মধ্যেই খেলতে হয়েছে তাদের।
অঙ্কন ২৭ বলে ২২ রান করে আউট হন।
অধিনায়ক হায়দার আলী ছিলেন তুলনামূলক স্বচ্ছন্দ। ২৮ বলে ৩৩ রান করে তিনি ফিরলে আবারও ধস নামে নোয়াখালীর ইনিংসে। পরের ব্যাটাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন। শেষদিকে মেহেদী হাসান রানা ১২ বলে ১১ রান করে কিছুটা লড়াই করেন।নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে নোয়াখালীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৪ রান।
রাজশাহীর হয়ে বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত রিপন মণ্ডল। মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়ে নোয়াখালীর ব্যাটিং ভেঙে দেন তিনি। তানজিম হাসান সাকিব নেন ২ উইকেট। এ ছাড়া হুসাইন তালাত ও বিনুরা ফার্নান্দো একটি করে উইকেট শিকার করেন।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজশাহীও শুরুতে হোঁচট খায়। ওপেনিং জুটি ভাঙে মাত্র ২ রানে। সাহিবজাদা ফারহান ২ বলে ২ রান করে আউট হন। এরপর তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তানজিদ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেললেও শান্ত শুরুতে ছিলেন সতর্ক।
পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেটে ৫৪ রান তোলে রাজশাহী। তবে পাওয়ারপ্লে শেষেই ২০ বলে ২৪ রান করে ফিরেন শান্ত।
এরপর ২০ বলে ২৯ রান করা তানজিদও আউট হন। হুসাইন তালাত ৯ বলে ৩ রান করে বিদায় নিলে ৭৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে রাজশাহী। সেই চাপ সামাল দেন ইয়াসির আলী চৌধুরী ও মুশফিকুর রহিম। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় ঝুঁকি না নিয়ে বুঝে-শুনে ব্যাটিং করেন দুজন। প্রয়োজন অনুযায়ী সিঙ্গেলসের সঙ্গে বাউন্ডারিও বের করেন তারা। কার্যকর এই জুটিতেই ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় রাজশাহী।
শেষ পর্যন্ত ইয়াসির ও মুশফিকের ব্যাটে ভর করেই ১৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
নোয়াখালীর হয়ে বল হাতে হাসান মাহমুদ নেন ২ উইকেট। এ ছাড়া রেজাউর রহমান রাজা ও জহির খান একটি করে উইকেট শিকার করেন।