আবাহনীর জয়ের দিনে রহমতগঞ্জের গোল উৎসব

আবাহনীর জয়ের দিনে রহমতগঞ্জের গোল উৎসব

প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুম বিদেশি ফুটবলার ছাড়াই খেলছে আবাহনী। তা সত্ত্বেও দেশের অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হকের অধীনে দেশি ফুটবলারদের নিয়েই পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটি জিতেছে তারা।এর মধ্যে টানা দুই জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে হেরে বসে আবাহনী। একই পরিণতি হয় রহমতগঞ্জেরও।  

সেখান থেকে একই তালে ঘুরে দাঁড়ালো দল দুটি। আজ শনিবার পঞ্চম রাউন্ডে একই দিনে জয় তুলে নিল আবাহনী ও রহমতগঞ্জ। তবে আবাহনীর জয় বেশ সাদামাটা। আর গোল উৎসব করেছে রহমতগঞ্জ। তারা হারিয়েছে ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবকে। অন্যদিকে আবাহনীর শিকার বাংলাদেশ পুলিশ এফসি।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে পুলিশকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। অন্যদিকে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে ফকিরেরপুলেকে ৬-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে রহমতগঞ্জ। গত সপ্তাহে ফেডারেশন কাপের লড়াইয়ে একই প্রতিপক্ষকে ৬-০ গোলে হারিয়েছিল তারা।

আজ জয় তুলে নেওয়া এই দুই দলের মধ্যে চলছে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকার লড়াই। সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে ২০২৪ সালে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলল দুই দল। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।  

আজ আবাহনীর চেয়ে শুরুতে আক্রমণাত্মক ছিল পুলিশই। সপ্তদশ মিনিটে ভালো একটি সুযোগও পায় দলটি। কিন্তু বক্সের জটলার ভেতর থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। অনেকটা খেলার বিপরীতে ২৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী । মাঝমাঠে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে মানিক মোল্লা দারুণ পাস বাড়ান আকাশকে, বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিখুঁত কোণাকুণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। ওই গোলের লিড ধরে রেখে বিরতিতে যায় আকাশি-নীলরা।

বিরতির পর ৬০তম মিনিটে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জালে বল জড়িয়েছিলেন আকাশ, কিন্তু অফসাইডের পতাকা ওঠে অনেক আগেই। এই অর্ধেও গোলমুখে কার্যকর হতে পরেনি পুলিশের আক্রমণভাগ। খেলার শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণের চেষ্টা করতে থাকে আবাহনী। ৭৬তম মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের শট যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। ৮৮তম মিনিটে ইমনের গোলেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় আকাশি-নীল জার্সিধারীদের। ডান দিক দিয়ে এক ছুটে বক্সে ঢুকে কোণাকুণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।

দিনের অন্য ম্যাচে প্রথমার্ধেই যা একটু প্রতিরোধ গড়েছিল ফকিরেরপুল। স্যামুয়েল বোয়াটেংয়ের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর পেনাল্টি থেকে আকোবির তুরায়েভ সমতায় ফেরান তাদের। কিন্তু একপেশে দ্বিতীয়ার্ধে ফকিরেরপুল স্রেফ উড়ে যায় খড়কুটোর মতো।  

৫৪তম মিনিটে রাজন হাওলাদারের গোলে ফের পিছিয়ে পড়ে ফকিরেরপুল। দলটির দুর্দশারও শুরু হয়। এরপর ৬৬ থেকে ৭২-এই ছয় মিনিটে তাজ উদ্দিন, নাবীব নেওয়াজ জীবন ও বোয়াটেং লক্ষ্যভেদ করলে বড় জয়ের ঘ্রাণ পেতে থাকে রহমতগঞ্জ।  

এ নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ গোলের দেখা পেলেন জীবন। বছর শেষের আগে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকায় এখন সবার উপরে সর্বশেষ মৌসুমে আবাহনীর তাবুতে থাকা এই ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পুরান ঢাকার দলটির হয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান রাজন। আর তাতে বিশাল জয় নিশ্চিত হয় রহমতগঞ্জের।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS