দেশের চলমান পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে ধান-চালের পাইকারি মোকামে। পরিবহন সংকটে উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করতে পারছেন না মিলাররা।অন্যদিকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় কমেছে আর্থিক লেন-দেন। এভাবে চলতে থাকলে খুচরা বাজারে বাড়তে পারে চালের দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
কারফিউ জারির পর থেকে নওগাঁর মিলগুলোতে নেই আগের ব্যস্ততা। ধান সংকটে কমেছে উৎপাদন। ধান না থাকার ফলে বন্ধ রয়েছে অনেক মিল। অলস সময় পার করছেন মিলে কাজ করা নারী-পুরুষরা। সব মিলিয়ে চরম সংকটে নওগাঁর ব্যবসায়ীরা।
নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার জানান, বাজার বন্ধ থাকার ফলে ধান সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা। ফলে অধিকাংশ মিল বন্ধ। কিছু মিলে চাল উৎপাদন হচ্ছে তবে সেগুলো সরবরাহ করা যাচ্ছে না। কারফিউ জারির ফলে সব যানবাহন বন্ধ রয়েছে ফলে নওগাঁ থেকে চাল কোথাও পাঠানো যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় কাজ ছাড়াই শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে। সব মিলে চরম সংকটে রয়েছেন মিল মালিকরা।
অন্যদিকে পাইকারদের আনা-গোনা না থাকায় বন্ধ নওগাঁর বেশিরভাগ আড়ত। দেশের এমন অবস্থায় পাইকাররা আসছেন না নওগাঁয়। ফলে অচল হয়ে পড়েছে আড়তপাড়া।
দেশের ধান-চালের বড় পাইকারি মোকাম উত্তরের জেলা নওগাঁ। দেশের সিংহভাগ চালের যোগান আসে এই জেলা থেকে। যানবাহন বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে সরবরাহ কার্যক্রম।
নওগাঁ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৩০ ট্রাক চাল সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। দেশের চলমান সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে সরকার এমনটাই দাবি ব্যবসায়ীদের।