পবিত্র রমজান মাসে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে সাশ্রয়ী মূল্যে ৩১টি পণ্য বিক্রি করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।  

‘বসুন্ধরার পণ্য, ভোক্তার জন্য’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো টাঙ্গাইলেও এ কার্যক্রম চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের সামনে বসুন্ধরা গ্রুপের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রির ট্রাকটির সামনে পণ্য কিনতে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ট্রাকটিতে ৩১টি পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির তালিকা টাঙানো রয়েছে।

সেখানে দেখা যায়, সয়াবিন তেল ১ লিটার ১৬৩ টাকার পরিবর্তে ১৫৫ টাকা, ২ লিটার ৩২৬ টাকার পরিবর্তে ৩১০ টাকা, ৩ লিটার ৪৮৮ টাকার পরিবর্তে ৪৬৫ টাকা, ৫ লিটার ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৭৬৫ টাকা, ৮ লিটার ১২৮০ টাকার পরিবর্তে ১২২৫ টাকা, সরিষার তেল ১ লিটার ৩৬০ টাকার পরিবর্তে ২৬৫ টাকা, আটা ১ কেজি ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৪৮ টাকা, ময়দা ১ কেজি ৭৫ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া সুজি ২৫০ গ্রাম ২৫ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা, মসুর ডাল ১ কেজি ১৫০ টাকার পরিবর্তে ১৪০ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১ কেজি ১৮০ টাকার পরিবর্তে ১৪১ টাকা, সেমাই ২০০ গ্রাম ৩০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, লাচ্ছা সেমাই ২০০ গ্রাম ৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, ইনস্ট্যান্ট মাসালা নুডলস ৮ প্যাক ১৪০ টাকার পরিবর্তে ১১০ টাকা, স্টিক এগ অ্যান্ড চিকেন নুডলস ১৫০ গ্রাম ২৫ টাকার পরিবর্তে ২২ টাকা, পান্ডা অথেন্টিক চাইনিজ নুডলস ৩০০ গ্রাম ৬০ টাকার পরিবর্তে ৪৮ টাকা, সি-শেল পাস্তা ২০০ গ্রাম ৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৭ টাকা, ম্যাকারনি অ্যাসরটেড ২০০ গ্রাম ৪৫ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, হলুদ গুঁড়া ৫০০ গ্রাম ২৪০ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা, মরিচ গুঁড়া ৫০০ গ্রাম ৪১০ টাকার পরিবর্তে ৩১৫ টাকা, ধনিয়া গুঁড়া ৫০০ গ্রাম ২৪০ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা, জিরা গুঁড়া ৫০০ গ্রাম ৯০০ টাকার পরিবর্তে ৭৭৫ টাকা, হালিম মিক্স ২০০ গ্রাম ৫৫ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা, মুরগির মসলা ১০০ গ্রাম ৭৮ টাকার পরিবর্তে ৬২ টাকা, বিরিয়ানি মসলা ৪০ গ্রাম ৬০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা, গরুর মাংসের মসলা ১০০ গ্রাম ৮৪ টাকা পরিবর্তে ৭০ টাকা, কাবাব মসলা ৫০ গ্রাম ৯০ টাকার পরিবর্তে ৭০ টাকা, বোরহানি মসলা ৫০ গ্রাম ৪০ টাকা পরিবর্তে ৩০ টাকা, চটপটি মসলা ৫০ গ্রাম ৪০ টাকার পরিবর্তে ৩২ টাকা, বসুন্ধরা চা (প্রিমিয়াম) ২০০ গ্রাম ১১০ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকা, বসুন্ধরা প্রিমিয়াম টি ব্যাগ ১০০ গ্রাম ৯০ টাকার পরিবর্তে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাশ্রয়ী মূল্যে বসুন্ধরার পণ্য কিনতে আসা অটোরিকশাচালক আমির হামজা জানান, বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মূল্যের চেয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পণ্যের দাম অনেক কম। এখান থেকে পণ্য কিনে কমপক্ষে কেজিতে ২০ টাকা সেভ হচ্ছে। অনেক পণ্যের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এর বেশিও সাশ্রয়ী হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।  

রিকশাচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি এক লিটার তেল ও এক কেজি ডাল কিনেছেন। এখান থেকে পণ্য কিনে তার ১৮ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এ ১৮ টাকা এখনকার বাজারে অনেক কিছু। তাই তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান।