গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) আজ শুক্রবার পাল্টা বক্তব্য রাখবে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার অভিযোগের বিষয়ে দুই দিনের শুনানি গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়।
শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবীরা বলেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান একটি রাষ্ট্র-পরিচালিত গণহত্যার অভিযান। ইসরায়েলের এই অভিযানের লক্ষ্য ফিলিস্তিনি জনগণকে নিশ্চিহ্ন করা।
দক্ষিণ আফ্রিকা গত ডিসেম্বরে আইসিজেতে মামলাটি করে। গতকালের শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবীরা আইসিজের বিচারকদের কাছে জানানো আরজিতে ইসরায়েলকে অবিলম্বে এই সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়ে জরুরি ব্যবস্থা আরোপ করতে বলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবীরা বলেন, গাজায় ইসরায়েলের আকাশ-স্থল হামলার লক্ষ্য উপত্যকাটির জনগণকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।
ইসরায়েলি হামলায় গাজার অনেকটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালায়। জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজায় গণহত্যা পরিচালনার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি, গাজায় তারা হামাসের যোদ্ধাদের নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে। তারা বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নিশানা করছে না।
ইসরায়েলের ভাষ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা হামাসের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে।
আইসিজে চলতি মাসের শেষ দিকে সম্ভাব্য জরুরি ব্যবস্থার বিষয়ে রুল দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু সে সময় আদালত গণহত্যার অভিযোগের বিষয়ে রুল দেবেন না। এই প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক বছর লাগতে পারে।
আইসিজের যেকোনো রায়ই চূড়ান্ত। চূড়ান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু রায় কার্যকর করার উপায় আইসিজের নেই।