প্রচণ্ড গরমে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একজন ব্যক্তি যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করেন তাহলে বুঝতে হবে তিনি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন। ফলে গ্যাস লেগেই থাকে; খাওয়ায় কোনো রুচি থাকে না। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট, কোমর ও মলদ্বারে ব্যথা হয়। দীর্ঘদিন এ রোগে ভুগলে কোলন ক্যানসারও হতে পারে। ডায়াবেটিস, থাইরয়েড বা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি নাজেহাল করে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও এই সময় এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আরও যা করা জরুরি-
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসবগুলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। পেট পরিষ্কার করতে চাইলে এই চেয়ে ভালো কোনো বিকল্প নেই। কিছু পরিমাণে ইসবগুল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাতের বেলা খেয়ে নিন। সকালে পেটর পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তিসির বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে । তিসি খেলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন, এগুলো বেশি পরিমানে খাবেন না, তা না হলে এগুলো হজম করা কঠিন হবে।
প্রাকৃতিকভাবে দইয়ের মধ্যে প্রোবায়োটিক পাওয়া যায়। যা হলো জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া। এটি পাকস্থলীর কার্যকারিতা উন্নত করে হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। যেকোনো প্রদাহ কমাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য আক্রান্ত ব্যক্তির ডায়েটে ফাইবারের অভাব লক্ষ্য করা যায়। তারা সাধারণত কার্বহাইড্রেট, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি খান। এই কারণে পেট পরিষ্কার হতে চায় না। বিশেষ করে এই গরমের দিনে মৌসুমি শাক, সবজি খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। এর মাধ্যমে পেট সহজে পরিষ্কার হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফল চিবিয়ে খান। বিশেষ করে এই গরমে রস করে ফল খেলে খুবই উপকার মেলে। এতে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয়। এছাড়া শরীরে পৌঁছে যায় ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ।
ডাল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বেশিরভাগ মটরশুটি, মসুর ডাল, ছোলা এবং মটর ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সহজ করে।
আপনার অন্ত্র উন্নত করার আরেকটি উপায় হল জল। স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্রের জন্য আপনার হাইড্রেটেড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সারাদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। শরীরে তরলের অভাব প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রথম কারণ।