বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে ধরণের মামলায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে, একই ধরনের মামলায় বিচারক আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে খালাস দিয়েছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সরকার এমন নোংরা ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যে মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে সাজা দেওয়া হয়েছে তা হাইকোর্ট থেকে আগেই খারিজ হয়ে গেছে। একইভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী জেবায়দা রহমানের ২০০৭ সালের মামলাগুলো চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে। এ নিয়ে কোর্টে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কথা বলতে চাইলে তাদের ওপর সরকারি দলের আইনজীবীরা হামলা করে। পুলিশ দিয়ে নির্যাতন চালায়।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম বন্ধ করতে সরকার ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। সরকার বিরোধী দলের ১৩৫০টি মামলা নিয়ে মাঠে নেমেছে। আগামী নির্বাচনের আগে এই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। যাতে নির্বাচনে প্রতিপক্ষ ছাড়া খালি মাঠে খেলে সহজে জয়ী হতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে বে-আইনিভাবে ব্যবহার করছে। রাষ্ট্রের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছে। অত্যন্ত ক্ষোভ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, পুরোনো মামলাগুলো আবারও শুনানি করে রাজনৈতিক নেতাদের সাজা দেওয়া হলো। এটা হচ্ছে সরকারের মৃত্যু ঘনিয়ে আসার আগে যখন আশা থাকে না তখন কোনও কিছু আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।