সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় শীতকালীন সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে নতুন পেঁয়াজের দাম। তবে মাছ ও মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
টানা তিন দিন সরকারি ছুটি ও শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ক্রেতা কম থাকায় সবজির দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে শেওড়াপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা দেলোয়ার বলেন, টানা তিন দিন সরকারি ছুটির কারণে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন।একই সঙ্গে শীতের কারণে বাজারে ক্রেতা কম থাকায় সবজির দাম অনেকটাই কম বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি শিম কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, দেশি গাজর কেজিতে ২০ টাকা কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা পিস, বাঁধাকপি বড় সাইজের ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন প্রকারান্তরে ৫০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা এবং ধুন্দল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্রেতা একেবারেই কম বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা এবং খিরাই ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে লেবুর হালি ১০ থেকে ৩০ টাকা, দেশি ধনেপাতা ২০০ টাকা এবং হাইব্রিড ধনেপাতা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি ৪০ টাকা, চালকুমড়া ৫০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে লাল শাক আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ২ আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা, ডাটা শাক দুই আঁটি ৩০ টাকা এবং পালং শাক দুই আঁটি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নতুন আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পুরোনো আলু ২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা কমে ৭০ টাকা এবং পেঁয়াজকলি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে সোনালি কক মুরগি ২৬০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ২৯০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে মাছ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ ৩০০ গ্রাম ওজনের এক কেজি মাছ এক হাজার টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১,৬০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১,৮০০ থেকে ২,০০০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ২,৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এক কেজি শিং মাছ (চাষের, আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি শিং ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১,৪০০ টাকা, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১,৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে দেশি আদা ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ১৭০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ১০০ টাকা এবং সোনালি কক মুরগির ডিম হালি ৬৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।