স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দিয়ে দিন শুরু করতে টক দইয়ের বিকল্প নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই দুগ্ধজাত খাবারটি সকালের নাশতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। দই নানা উপায়ে খাওয়া যায়—ফলের সঙ্গে, কিংবা স্মুদি তৈরি করেও। প্রতিদিন সকালে নাশতায় দই খেলে শরীর পায় একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
টক দই হলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের একটি সমৃদ্ধ উৎস। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, বি২, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এসব উপাদান শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ টক দই হজম প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে।যাদের পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়ার সমস্যা রয়েছে, তারা সকালে দই খেলে উপকার পেতে পারেন।
যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাদের জন্য টক দই একটি চমৎকার খাদ্য। এতে থাকা উচ্চমাত্রার প্রোটিন দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূতি দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
টক দই রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
দইয়ে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং অন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে।
এক কাপ টক দইয়ে প্রায় ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ দই খেলে হাড় মজবুত থাকে এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে।
সকালের ব্যস্ত সময়ে পুষ্টিকর খাবারের অভাবে অনেকেই নাশতা এড়িয়ে যান। এমন অবস্থায় টক দই হতে পারে সহজ ও কার্যকর সমাধান।এটি রান্নার প্রয়োজন নেই—একটি পাত্রে দই নিয়ে তাতে পছন্দের ফল, বাদাম বা বীজ যোগ করলেই তৈরি হয়ে যায় স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু নাশতা।