রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত রুমান (১৫) মারা গেছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে মগবাজার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এর আগে গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে কামরাঙ্গীরচর পূর্ব রসুলপুর ৭ নম্বর গলিতে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছিল সে।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কামরাঙ্গীরচর পূর্ব রসুলপুর ৭ নম্বর গলির রঞ্জুর বাড়ির সামনে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে সাইফুল ইসলাম সাগর ওরফে অমিম (১৯) রুমানের বুকে ও হাতে ছুরিকাঘাত করে।
আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে রুমানের আইসিইউ প্রয়োজন হওয়ায় তাকে মগবাজার এ-ওয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরদিন রুমানের বাবা রিকশাচালক জালাল ফকির থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।সেদিনই অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলাম সাগর ওরফে অমিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রুমানের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা থানার মজিদ ফকির কান্দি গ্রামে।
বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর পূর্ব রসুলপুর ৮ নম্বর গলিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতো। বাবা জালাল ফকির রিকশাচালাক। রুমান স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল।