সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের বলা হয়েছিল, কোনো ধরনের মহড়া বা পাঁচজনের বেশি নেতা-কর্মী সঙ্গে আনা যাবে না।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আসেন। এ সময় দলের ও অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতা–কর্মীকে সেখানে উপস্থিত দেখা গেছে। পরে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী সেখানে যান। এই নেতা–কর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ সময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক রণজিত সরকার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিজিত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বের হয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তিনি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। তিনি সিলেট জেলা ও মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও এক কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন। অন্য যাঁরা ছিলেন তাঁরা কাউন্সিলর প্রার্থীসহ তাঁদের সমর্থক।
প্রায় একই কথা বলেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদিরও। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রার্থীকে পাঁচজনের বেশি মানুষ নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা না দিতে বলে আসছি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে যখন এসেছিলেন, সে সময় কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকেরাও উপস্থিত হয়েছিলেন।’
এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল হানিফ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে বলা হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় যেন পাঁচজনের বেশি লোক না থাকেন। তিনি নিয়ম মেনেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা দেড়টা পর্যন্ত মেয়র পদপ্রার্থী ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন আজ ও গতকাল সোমবার তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটির ভোট। ২৩ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। ২৫ মে মনোনয়ন ফরম বাছাই, ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামতে পারবেন প্রার্থীরা।