নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শামীমকে (৩০) পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যাচেষ্টার সময় বাধা দেওয়ায় গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে।আটক শামীম হাইজাদী ইউনিয়নের আফরদী গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের রাইনাদী কলাগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১টার দিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শামীম একটি অটোরিকশা ছিনতাই করতে গেলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনি খেয়ে শামীম টোটারবাগ গ্রামের শাহজালালের বাড়িতে আশ্রয় নিলে স্থানীয় লোকজন আড়াইহাজার থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে শামীমকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিয়ে আসার সময় টোটারবাগ মসজিদের সামনে পৌঁছালে শত শত জনতা উত্তেজিত হয়ে শামীমকে ছিনিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে গ্রামবাসী পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম, এসআই আসাদুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুন সামান্য আহত এবং আসামি শামীমসহ ছয়জন আহত হয়। পরে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজি ভাঙচুর করে। আহত অবস্থায় পুলিশ শমীমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শামীমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। বাকি পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, আটক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। আমাদের তিনজন পুলিশ সামান্য আহত হয়। আর আটক শামীমের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৫টি মামলা রয়েছে।