অতিরিক্ত মেদ বা ডায়াবেটিসের চোখরাঙানি— একাধিক কারণে আলু এড়িয়ে চলেন বহু মানুষ। পুষ্টিবিদরা বলছেন, পাত থেকে আলু বাদ দিলেও, রাঙা আলুকে অবহেলা করা ঠিক নয়।
‘আমেরিকান ওবেসিটি অ্যাসোসিয়েশন’র মতে, রাঙা আলুর ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ (জিআই) এতটাই কম যে, এর থেকে তৈরি হওয়া গ্লুকোজ দ্রুত রক্তে মিশে যেতে পারে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি খুব একটা বাড়ে না। তাছাড়া এতে থাকে বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের মতো দরকারি উপাদান।
ওজন কমাতে: রাঙা আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ধীরে ধীরে পাচিত হয়। ফলে পেট ভরে তাড়াতাড়ি। যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমাতে কাজে আসতে পারে রাঙা আলু। ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও কাজে আসে রাঙা আলু।
শিশুর জন্য: মিষ্টি আলুতে থাকে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ। শিশুর বেড়ে ওঠা, বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশে এবং চোখ ভালো রাখতে খুবই কার্যকর এই উপাদান। তাছাড়া রাঙা আলুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম ও জিঙ্কের মতো খনিজ। এই উপাদানগুলো শিশুর শরীর গড়ে তুলতে বেশ কার্যকর।
শক্তি ফেরাতে: কার্বোহাইড্রেট মাত্রই অপকারী নয়। বরং শরীরকে উজ্জীবিত করতে কার্বোহাইড্রেট খুবই উপযোগী। তাই সারাদিন পরিশ্রমের পর ক্লান্তি চেপে ধরলে শরীর চাঙা করতে এই সবজি কাজে আসে। প্রতি ৩শ গ্রাম রাঙা আলু থেকে ৫৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। এই শর্করা দ্রুত রক্তে মিশে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে।