নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ওড়ার সময় একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার ওই দুর্ঘটনা ঘটে।খবর বিবিসির।
বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের পাইলটই শুধু বেঁচে ফিরেছেন। বাকিরা মারা গেছেন। পাইলট এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সৌর্য এয়ারলাইন্সের ওই টেস্ট ফ্লাইটে মোট ১৯ জন ছিলেন।
নেপালে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ইতিহাস বেশ দুর্বল। এর পেছনে অনিশ্চিত আবহাওয়াসহ শিথিল প্রবিধানের মতো বিষয়গুলোকে দায়ী করা হয়ে থাকে।
বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরপরই উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধান ও উদ্ধার সমন্বয় কেন্দ্রের বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়েছে।
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ হিসেবে সৌর্য এয়ারলাইন্সের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটির পোখারায় যাওয়ার কথা ছিল।
এয়ারপোর্ট প্রধান জগন্নাথ নিরাউলা বিবিসি নেপালিকে বলেন, ওড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। এক মিনিটেরও আগে। এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কিছু বলেনি।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান বলছেন, প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটি ভুল দিকে উড়েছিল। নিরাউলা বিবিসি নেপালিকে বলেন, ওড়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটি ডানদিকে ঘুরে যায়। যাওয়ার কথা ছিল বাঁ দিকে।
ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কাত হয়ে পড়ে। এতে আগুনের শিখা দেখা যায়। দ্রুত এতে আগুন ধরে যায় এবং এটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
নিহতদের মধ্যে ১৭ জন নেপালি। একজন ইয়েমেনের নাগরিক। তিনি প্রকৌশলী হিসেবে ওই ফ্লাইটে কাজ করতেন।
পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি বিবিসি নেপালিকে বলেন, পাইলট চোখে ও কপালে আঘাত পেয়েছেন। তবে জীবন ঝুঁকিতে পড়ার মতো কিছু হয়নি।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৭২ জন নিহত হন। ওই উড়োজাহাজের পাইলট ভুল করে পাওয়ার কেটে দিয়েছিলেন।
১৯৯২ সালের পর এটিই নেপালে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। সেবার ১৭২ লোক নিয়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়।