নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেছেন, মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা হতে পারে না। আইন অনুযায়ী যা যা থাকার দরকার তা যেন মেনে চলে রেস্তোরাঁগুলো।বেইলি রোডের মতো দুঃখজনক ঘটনা যেন নারায়ণগঞ্জে না ঘটে;এজন্য আমাদের টিম কাজ করছে। আমরা দেখেছি – রেস্তোরাঁগুলো আবাসিক এলাকায় করা হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে রেস্তোরাঁগুলো আবাসিক ভবন থেকে সরিয়ে বাইরে স্থানান্তর করা হবে। রেস্তোরাঁর জায়গায় রেস্তোরাঁ থাকবে। তাদের সকল দপ্তরের ছাড়পত্র আছে কি না আমরা তা দেখব।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উপলক্ষে আদালত পাড়ায় র্যালি বের করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক বলেন, রমজানে ব্যবসায়ীদের বলব যার যার অবস্থান থেকে কম লাভ করে পণ্যটা মানুষকে দিন। ভোক্তার যে অধিকার তা যেন সংরক্ষণ হয়, সেদিকে সবাই খেয়াল রাখবেন। আমরা নিজেরাই ভোক্তা আবার নিজেরাই বিক্রেতা। আমরা কেউ একটি পণ্য বিক্রি করি আবার অন্য একটি পণ্য কিনি। কোনো না কোনোভাবে প্রত্যেকেরই কিন্তু অধিকার খর্ব হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক নয়; রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে অনুরোধ করব প্রত্যেকে যেন যার যার ব্যবসাটা সঠিকভাবে করুন, ন্যায্যমূল্য রাখুন। ভেজালমুক্ত খাবার যেন মানুষ খেতে পারে সেই উদ্যোগটা গ্রহণ করুন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন – ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সদস্য বিল্লাল হোসেন রবিন, নারায়ণগঞ্জ সুগার অ্যান্ড ওয়েল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শংকর সাহা, ক্যাব নারায়ণগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কাজী দলিল উদ্দিন দুলাল, হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি শাহীনসহ আটা-ময়দা মালিক সমিতি, চাল আড়তদার মালিক সমিতি, ড্রাগ অ্যান্ড কেমিস্ট ব্যবসায়ী সমিতি, নিতাইগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতি, কালিবাজার ব্যবসায়ী সমিতি, দিগুবাবু বাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।