মাঠে বেশ সরবই দেখা যায় নাজমুল হোসেন শান্তকে। তবে তিনি সিলেট স্ট্রাইকার্সের নেতৃত্বে নেই কাগজে-কলমে।এতদিন দলটির অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এখন তিনি রাজনৈতিক ব্যস্ততায় নেই দলের সঙ্গে। সহ-অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বভার।
অথচ অধিনায়ক হিসেবে শান্ত নিজেকে চিনিয়েছেন বিপিএল শুরুর ঠিক আগের নিউজিল্যান্ড সফরে। প্রথমবারের মতো তাদের মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জিতিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। এর আগে ঘরের মাঠে টেস্টও জেতেন। তবুও শান্তকে বিপিএলে অধিনায়কত্ব করতে না দেখে অবাক হয়েছেন বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি বলেন, ‘এটা তো আসলে যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের চিন্তাভাবনা যে, কেন শান্ত তাদের অধিনায়ক না। আমিও একটু আশ্চর্য হয়েছি। অবশ্যই মাশরাফি আমাদের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। কিন্তু আমি আশা করেছিলাম যে শান্ত যেহেতু জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক। ওখানে শান্তর অধিনায়কত্ব করাটাই মনে হয় ভালো হতো। আমি যদি হতাম তাহলে হয়তো এরকম চিন্তা করতাম। ’
‘কিন্তু আমি জানি মাশরাফিও সেরকম, সে সবসময় তরুণদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি জানি না কারণটা কী। কেন মাশরাফিকেই নেতৃত্ব দিতে হলো- মাশরাফি খেলতেই পারতো; সে লিডার হিসেবে যে খেলতে পারবে না এমন তো কোনো কথা নাই। ’
‘কিন্তু একই সঙ্গে শান্ত যেহেতু বর্তমান জাতীয় দলের সদস্য, সাকিব না থাকায় নিউজিল্যান্ড সফরে অধিনায়কও ছিল; সেক্ষেত্রে দেওয়া যেতেই পারতো। এটা পুরো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অধিনায়কের ওপর ভরসা। তাদের হয়তো মাশরাফির ওপর ভরসাটা বেশি। এটা হতেই পারে আসলে। আমি হলে হয়তোবা বর্তমান অধিনায়ককেই চিন্তা করতাম। ’
এবারের বিপিএলে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না জাতীয় দলের ব্যাটাররা। ৪ ম্যাচ খেলে সবমিলিয়ে লিটন করেছেন ৩৫ রান, ৫ ম্যাচে শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৬৯ রান, ৫ ম্যাচে সৌম্য সরকার করেছেন ৯৭ রান। এসব ব্যাটাররা দ্রুতই রান পাবেন এমন আশাও সুজনের।
তিনি বলেন, ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি ক্লাস ইজ পারমানেন্ট। এই ছেলেরা সবাই ভালো খেলোয়াড়, ক্লাস প্লেয়ার। তবে হ্যাঁ করি রানে ফেরাটা জরুরি। আমি মনে করি যে একটা সময় যাবে খারাপ হবে, তারা যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় নিজেদের মেলে ধরার জন্য, ভালো কিছু করার জন্য। ’
‘আমি আশা করি লিটন, সৌম্য, শান্ত যারাই আছে; তারাই ভালো কিছু করবে আগামী ম্যাচগুলোতে। বাড়তি কোনো চাপ না নিয়ে স্বাভাবিক খেলাটা খেললে তারা যথেষ্ট সক্ষম প্লেয়ার দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার। ’