চলতি বিশ্বকাপে মাঠের পারফরম্যান্সে এখন পর্যন্ত হতশ্রী অবস্থা বাংলাদেশের। সবার আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হয়েছে সাকিব বাহিনীর। এজন্য অনেকেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুষছেন। তবে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের দাবি, সাকিব তার সামর্থ্যের একশ ভাগের দশ ভাগও দিতে পারেননি।
এদিকে বিশ্বকাপে কলকাতায় ব্যর্থ মিশন শেষে গত বুধবারই দিল্লিতে পৌঁছেছে সাকিব আল হাসানের দল। তবে সেখানে এখনও অনুশীলন শুরু করতে পারেনি টাইগাররা। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ টাইগারদের মাঠে নামার কথা ছিল।
শুক্রবার সেখানে টিম টাইগার্সের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন সুজন। তার ভাষ্য, সাকিব তো তার একশ ভাগের দশ ভাগও না (খেলতে পারেনি), এটা সাকিবও ভালো বুঝে। এজন্যই তো সে ঢাকায় গিয়েছিল ট্রেনিং করতে হয়তো-বা। ও জানে যে ও কতটা উদগ্রীব পারফর্ম করার জন্য। খালি ওর পারফরম্যান্স না, ও চায় দল জিতুক। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দল পারফর্ম করতে পারছে না এবং জিততে পারছে না। ২০১৯ বিশ্বকাপে যেভাবে ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে অধিনায়ক হিসেবে, সেটা করতে না পারাও একটা কারণ হতে পারে।
সুজন যোগ করেন, এটা শুধু সাকিবের একার দোষ দিয়ে লাভ নেই। দলে তো সাকিব একা খেলে না, আরও ১০ জন খেলোয়াড় আছে। অধিনায়কের দায়িত্বটা একটু ভিন্ন, কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে তো সবার দায়িত্ব এক। সাকিব যখন ব্যাটিং করে সাকিব তো তখন অধিনায়ক না, তখন সে একজন ব্যাটার। যখন বোলিং করে তখন সে একজন বোলার। দিনশেষে সব ব্যাটার-বোলারকে একই দায়িত্ব নিতে হবে।
টিম ডিরেক্টরের মন্তব্য, অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে সেই সমালোচনা নিতেই হবে, এটা খুব স্বাভাবিক। আমার মনে হয় সব সমালোচনা সাকিবের না, আমাদের সবার (হওয়া উচিত)। বাংলাদেশে বিষয় যখন আসে তখন আমরা সবাই মিলে একটা দল। আমিও যেমন এর অংশ। সেটা আমারও ব্যর্থতা। আমি মনে করি ব্যর্থতাটা আমাদের সবার, আমরা ভালো করতে পারিনি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয় দিয়ে আসর শুরু করলেও পরের ছয় ম্যাচে টানা হেরেছে লাল-সবুজেরা। টানা হারে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলাও। তাই পয়েন্ট টেবিলে অন্তত সাত-আটে থেকে শেষ করাই এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য। এতে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে পারবে লাল-সবুজেরা।
বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা এবং ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে সাকিব বাহিনী।