অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১৭ বছর আগের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালতে প্রায় আধঘণ্টা ধরে দুজন ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্যদাতা দুজন হলেন ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখার সাবেক ম্যানেজার এবং ইসলামী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার তৎকালীন অফিসার।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আজ দুপুরে টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে আদালতে হাজির করা হয়। আজ দুজন ব্যাংক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপর পর্যাপ্ত নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আবার তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
দুদক সূত্র জানায়, ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৪ টাকার তথ্য গোপন এবং ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে বদির বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। পরের বছর তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলার সময় আবদুর রহমান বদি টেকনাফ পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র ছিলেন।
পরে বদি উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে এলে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত থাকে। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে দীর্ঘদিন পর ২০১৭ সালে মামলাটি সচল হয়।
২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। বিচারের এই আদেশের বিরুদ্ধে বদি হাইকোর্টে যান। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেন। পরে একইবছরের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু।
চলতি বছরের ২৪ আগস্ট রাতে নগরের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে আবদুর রহমান বদিকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। সরকার পতনের পর টেকনাফ থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় মাদক চোরাচালানের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আবদুর রহমান বদির নাম রয়েছে। তালিকায় মাদকের গডফাদার হিসেবে বদির চার ভাইসহ পরিবারের অন্তত ২৬ জনের নাম রয়েছে।