ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মায়ার দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মুহূর্তে একটি উপন্যাস প্রকাশ করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। গত পাঁচ বছরে এটি তার লেখা চতুর্থ বই। প্রকাশিত উপন্যাসের নাম ‘ফুগু আমেরিকাইন’।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে মন্ত্রী কীভাবে এই ধরণের একটি বই লেখার জন্য সময় বের করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ‘ফুগু আমেরিকান’ নামের এই বইটি ফরাসি মন্ত্রীর লেখা ১৩ তম বই। ব্রুনো ২০১৭ সালে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অর্থনীতির ক্ষেত্রে নিজের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন।
ফ্রান্সের অনেকেই লেখালেখিতে সময় দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে দোষারোপ করছেন, বিশেষত যখন দেশটি অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে রয়েছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ২০২১ সাল থেকে ফরাসি অর্থনীতিকে ব্যাপক চাপের মধ্যে রেখেছে। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে এর হার ৭ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে।
ফরাসি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ‘ফ্রান্স ইনফো’র এক ইন্টারভিউতে লে মায়ার বলেন, বইটি আপনাদের পড়া উচিত। এটি সঙ্গীত এবং সঙ্গীতের প্রতি আমার আবেগ সম্পর্কে। রাজনৈতিক জীবন যাপনের পাশাপাশি বই লিখতে তিনি ভুল কিছু খুঁজে পাননি।
তিনি বলেছেন, ফ্রান্সের ক্রেডিট রেটিং একটি এজেন্সি দ্বারা ডাউনগ্রেড করার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রকাশিত উপন্যাসটি লেখার জন্য সমালোচনার মুখে পড়ার পরে তিনি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার বিষয়ে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেছেন।
এদিকে একজন বামপন্থী আইনপ্রণেতা ফ্রাঁসোয়া রফিন বলেছেন, এমন সময়ে যখন ফ্রান্সের জনগণ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ব্যাপক উদ্বিগ্ন, তার কি এক মিনিট, এক ঘণ্টা বা এক সপ্তাহ সময় থাকতে পারে এরকম কিছু লেখার জন্য?
‘ফুগু আমেরিকাইন’ কিংবদন্তি পিয়ানোবাদক ভ্লাদিমির হোরোভিটজকে নিয়ে একটি কাল্পনিক উপন্যাস।