ঢাকায় ঈদের আনন্দ, আইসিসিবির লাইফস্টাইল নাইট কার্নিভাল

ঢাকায় ঈদের আনন্দ, আইসিসিবির লাইফস্টাইল নাইট কার্নিভাল

রাতের শহরকে মুখরিত করে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) প্রাঙ্গণে চলছে ঈদ-পূর্ব নাইট কার্নিভাল। লাইফস্টাইলভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে সাজানো এই আয়োজনে ভোক্তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ওয়ান-স্টপ শপিংয়ের সুযোগ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, আবাসন, পোশাক, কসমেটিকস, ম্যারেজ অ্যারেঞ্জড প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ২৫-৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে এই কার্নিভালে। বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর মেলা প্রাঙ্গণ। ঈদের কেনাকাটার জন্য এক আদর্শ স্থান হয়ে উঠেছে আইসিসিবি।

২০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই লাইফস্টাইল নাইট কার্নিভাল চলবে ২২ মার্চ শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলবে এই জমজমাট আয়োজন। ই-বিটস আয়োজিত এবং গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্নিভাল যেন এক অন্যরকম ঈদের আমেজ নিয়ে এসেছে রাজধানীবাসীর জন্য।

টুয়েলভ, ঢাকাই জামদানি, পার্তুম, ক্লাসিরো, সুলতানা বাই গ্যামাক্সি, এক্সো, কালপাতুর, সেইলর, আরবান এটাইআর, রোহা থাই, স্বপনীল হাউস, জিজি অ্যাপারেল, ন্যাচার ফর হিউম্যান, আরগু’স জুয়েলারি অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ, সাইস, ট্রাস্ট ফ্যাশন জুয়েলারির মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো তাদের ঈদ কালেকশন নিয়ে রয়েছে ক্রেতাদের অপেক্ষায়।

আবাসন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোও বাদ যায়নি এই মেলায়। রয়েছে ছুটি কক্সবাজার লিমিটেড, প্রবাসী পল্লী গ্রুপ, ভাইয়া হোটেল, গোল্ডসেন্ডস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। এছাড়া, বিবাহযোগ্য পাত্রপাত্রী খুঁজে দিতে ম্যারেজ সল্যুশন বিডির মতো প্রতিষ্ঠানও অংশ নিয়েছে এই কার্নিভালে।

ঘুরে ঘুরে ক্ষুধা পেলে, রয়েছে তারও সমাধান। খাবারের স্টলগুলো বৈচিত্র্যময় খাবারের আয়োজন নিয়ে প্রস্তত। ভিনটেজ বেক অ্যান্ড কেক, স্টারেস্ট, ফাতেমা বনিদি খানা, ছায়াতল, গ্রিন চিলি, কিউকিউ ফরমসা স্মুথি অ্যান্ড আইসক্রিমের মতো স্টলগুলো দর্শনার্থীদের খোলা রয়েছে পুরো রাত।  

কার্নিভালের আয়োজক ই-বিটস-এর সিইও এরিকা আফরিন বুশরা বলেন, মূলত লাইফস্টাইল ভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফোকাস করেই এই কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে একটি পরিবারের প্রয়োজনীয় সবকিছু যেন এক ছাদের নিচে পাওয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই এই আয়োজন।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। ছুটির দিন হওয়ায় ইফতারের সময় থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। সেহরি পর্যন্ত এই ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।  

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS