প্রসাধনী-অলঙ্কারের দোকানে উপচেপড়া ভিড়

প্রসাধনী-অলঙ্কারের দোকানে উপচেপড়া ভিড়

উত্তরের ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র নীলফামারী সৈয়দপুরে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। বাঙালি-বিহারীর মিশ্র শহরে দিন ও সারারাতই চলছে কেনাকাটা।কেউ কেউ সেহেরি শেষ করে আসছেন কেনাকাটা করতে। এ এক আজব শহর। বিভিন্ন দোকান ও রেডিমেড দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। এখন কাটা কাপড় খুব একটা বিক্রি হচ্ছে না। কারণ দর্জিরা কাপড় নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

এখন সৈয়দপুরে তরুণীরা পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে কিনছেন কানের দুল, চুড়িসহ প্রসাধনসামগ্রী। ফলে এসব দোকানে ভিড় বেড়েছে প্রচণ্ড। দোকানিদের কথা বলার ফুরসত নেই। তেমনি ক্রেতা দাঁড়ানোর মতো জায়গাও নেই। তবুও কিনতে হবে। তাই হুড়োহুড়ির মধ্যে ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনাও।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাঙালিরা নতুন জামা-কাপড় কেনা থেকে কিছুটা বিরত থাকলেও বিহারীদের নতুন কাপড় চাই চাই। তারা এ ঈদে পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনের নতুন কাপড় কিনে থাকেন। শহরের মুন্সিপাড়ার বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দা মুন্না (৪৫) বলেন, আমরা সবাই এ ঈদে নতুন কাপড় কিনবো এবং পরবো। আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি থাকে। সংসারের অন্য খরচ কমিয়ে নতুন জামা-কাপড় কিনতেই হবে। এটাই আমাদের রেওয়াজ।

শহরের চুড়িপট্টিতে কথা হয় কলেজছাত্রী শামসুন নাহারের সঙ্গে।

তিনি বলেন, কয়েকটি থ্রি-পিস কিনেছি। এগুলোর সাথে ম্যাচিং করে চুড়ি, কানের দুল, জুতাও ভ্যানিটি ব্যাগ কেনার জন্য এসেছি। যে ভিড় দোকানির সঙ্গে কথায় বলা যাচ্ছে না। তারপরও কিনতে হবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

এদিকে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ভিড় বেড়েছে এসব দোকানে। সারারাত কেনাকাটায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মীরা।  

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন জানান, ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য নিরাপত্তার জন্য পুলিশ কাজ করছে। একইসঙ্গে টহল বাড়ানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS