২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে টেলিকম, কার্বনেটেড বেভারেজ ও ওয়াটার পিউরিফায়ারের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ও কর আরোপ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার্স কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)।
সংগঠনটি মনে করছে, প্রস্তুতকারকদের জন্য বর্ধিত এ কর ব্যবসার মুনাফার ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।বর্ধিত কর সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করার আশঙ্কা তৈরি করবে।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
সম্মেলনে ফিকি সভাপতি বলেন, নতুন শুল্ক ও কর বসানোয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে। ২০২৪ সালে চেম্বারের প্রস্তাবিত সংশোধনী নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কাজ করা সহজ হবে। তিনি বলেন, সম্ভাব্য কর আরোপের হারে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। এটি ব্যবসা কার্যকরভাবে পরিকল্পনা করতে এবং বিনিয়োগে উৎসাহ দেবে।
গৃহস্থালি আয় সমীক্ষা অনুসারে, জনসংখ্যার মোট ১০ শতাংশ জাতীয় আয়ের ৪০ শতাংশ অবদান রাখে। এনবিআরের তথ্য অনুসারে, দেশের মাত্র এক কোটি নিবন্ধিত করদাতা রয়েছেন। জনগণকে কর জালের আওতায় আনতে আরও অনেক দূর যেতে হবে। যেহেতু সরকার এ নিয়ে কাজ করছে, তাই সামনে ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছে ফিকি।
এ নিয়ে খাতভিত্তিক রাজস্ব বিশ্লেষণ এবং করদাতার ভিত্তি বাড়ানোর মতো উদ্ভাবনী পদ্ধতি নেওয়ার পরামর্শ দেন জাভেদ আখতার।
বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী হলেও কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করে ফিকি। ফিকি সভাপতি বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এবারের সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বাস্তবায়ন সম্ভব।
ফিকি সভাপতি বলেন, ব্যক্তিগত আয়কর হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর। এ ব্যবস্থা নিয়মিত করদাতাদের কাছে অন্যায় মনে হতে পারে এবং অসাবধানতাবশত কর ফাঁকি দিতে উৎসাহিত করতে পারে। ট্যাক্স স্ল্যাবে এ ধরনের পরিবর্তনগুলো নিয়মিত করদাতাদের নিরুৎসাহিত করবে।