স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় যোগ দেবেন তারা।
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) এ ঘোষণা দিয়ে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস জানান, গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই সংঘাত গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কামূলক পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। শুধুমাত্র গাজা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরে আসাই নয়, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতি থেকেও স্পেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হল যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত তিন দেশ আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ের সঙ্গে স্পেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিল স্পেন। কলম্বিয়া, মিশর এবং তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে স্পেনও এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলায় যোগদানের অনুরোধ করবে। খবর আল জাজিরা
গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকা গত জানুয়ারিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলা করে। ইসরায়েল বলে আসছে তারা গাজায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে কাজ করছে। গণহত্যা মামলাটিকে ভিত্তিহীন অভিহিত করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘হামাসের আইনি সহযোগী’ হিসেবে অভিযুক্ত করছে তারা।
এছাড়াও স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ের পদক্ষেপকে ইসরায়েল ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কার’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং এই তিন দেশ থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে।
এই গণহত্যা মামলার রায় দিতে আইসিজের কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। এই রায় বাধ্যতামূলক এবং এর বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না, যদিও জাতিসংঘের এই শীর্ষ আদালতের কাছে রায় বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর উপায় নেই।