গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা একটি শিল্প অঞ্চল। এখানে রয়েছে তিন শতাধিক শিল্প কারখানা। এসব শিল্প কারখানা ঈদের ছুটি ঘোষণা করলেই ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা এলাকাজুড়ে বেড়ে যায় যানজট। সড়কের দুই পাশে রয়েছে শতাধিক বাস কাউন্টার। চন্দ্রা থেকে চৌরাস্তার মহাসড়কের দুপাশে অসংখ্য ফুটপাত রয়েছে। এসব ফুটপাত ও যত্রতত্র ভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। তবে ঢাকা টাঙ্গাইল এলেঙ্গা মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা।
জানা গেছে, ঈদ আসলেই মনে পড়ে মানুষের দুর্ভোগের কথা। নাড়ির টানে উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার মানুষ প্রতি বছরই ঈদে যানজটের পরে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় চন্দ্রা এলাকাজুড়ে। এবারও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেজে ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় বিরামহীন নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
যানজট নিরসনে ঈদের পূর্বেই এলেঙ্গায় থেকে চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চান তারা। ঢাকা টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গাজীপুরের ভোগড়া পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় চার লেনসহ দুই পাশে ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুটি সার্ভিস লেন হয়েছে। এতে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানজট প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এ রাস্তা দেখে উন্নত দেশের রাস্তার মতো মনে হলেও এটি এখন দৃশ্যমান ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের রাস্তা। আর এই রাস্তার সুফল ভোগ করছে উত্তরবঙ্গসহ মোট ২২ জেলার মানুষ। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তাটি এখনও চার লেনে উন্নীত হয়নি। ফলে মহাসড়কের ৭০ কিলোমিটার এলাকার সুফল মিললেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার মানুষের। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ভোগান্তির আশঙ্কা অনেকটাই কমে গেছে। এরিমধ্যে গাজীপুর ভোগরা সহ চৌরাস্তা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ৮টি ফ্লাইওভার দিয়ে গাড়ী চলায় যানজট কমে গেছে। ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় অসংখ্য বাস কাউন্টার, সড়কের দুপাশে ফুটপাত, যত্রতত্র ভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানান চালকরা।
গাজীপুর সড়ক ও জনপথ উপসহকারী প্রকৌশলী অভি সুজন জানান, সড়ক ও জনপথ চন্দ্রা এলাকায় সড়কের মাঝে ডিভাইডার কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজ শেষ হলে চন্দ্রা এলাকা যানজট কমে যাবে।
কোনাবাড়ি থানা হাইওয়ে ভারপ্রাপ্ত (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, এবার আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে চন্দ্রা আশপাশের সকল বাস কাউন্টার, ফুটপাত উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যাতে করে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে। যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করবেন বলে জানান।