আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের সৈকত

আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে বাংলাদেশের সৈকত

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।বার্ষিক পর্যালোচনা ও বাছাই প্রক্রিয়ার পর সৈকতকে এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা।

সেই বাছাই প্রক্রিয়ার প্যানেলে ছিলেন আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকার, অবসরে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের আম্পায়ার টনি হিল ও স্থানাপন্ন বিশেষজ্ঞ পরামর্শক মাইক রাইলি।

২০০৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে কাজ করছেন সৈকত। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে তার অভিষেক হয় ২০১০ সালে। মিরপুরে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সাইমন টফেলের সঙ্গে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এখন পর্যন্ত ছেলেদের ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে ও ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও মেয়েদের ১৩ ওয়ানডে ও ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দেখা গেছে তাকে।

মেয়েদের ২০১৭ ও ২০২১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৮ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ছেলেদের ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন সৈকত। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় এলিট প্যানেলে সুযোগ পেয়ে বেশ রোমাঞ্চিত ৪৭ বছর বয়সী এই আম্পায়ার। তিনি বলেন, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হওয়াটা বেশ সম্মানের। নিজের দেশের প্রথম হিসেবে এই প্যানেলে যুক্ত হওয়াটা আরও স্পেশাল। আমার ওপর যে আস্থা দেখানো হয়েছে তার সুবিচার করতে মুখিয়ে আছি। বছরের পর বছর ধরে কিছু অভিজ্ঞতা জমা হয়েছে এবং আমি আরও চ্যালেঞ্জিং দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত। আমার পাশে থাকার জন্য আইসিসি ও বিসিবিকে ধন্যবাদ।  আমাকে সবধরনের সাহায্য ও পথ প্রদর্শন করার জন্য বাকি সহকর্মীদেরও ধন্যবাদ। আমি আরও ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের, যারা আমার পাশে থেকে আমাকে সমর্থন করেছে। ‘

সৈকতকে নিয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী জেফ অ্যালারডাইস বলেন, ‘আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে যুক্ত হওয়ার জন্য শরফুদ্দৌলাকে (সৈকত) অভিনন্দন এবং বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এই প্যানেলে নির্বাচিত হওয়ার অর্জনকে সাধুবাদ জানাই। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতে অনেক বছর ধরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের প্রাপ্য স্বীকৃতি এটি। ‘

এদিকে আগামী মৌসুমের জন্য এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি হিসেবে রাখা হয়নি ক্রিস ব্রডের নাম। ইংল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটার ২০০৩ সাল থেকে এলিট প্যানেলে যুক্ত ছিলেন। ১২৩ টেস্ট, ৩৬১ ওয়ানডে ও ১৩৫ টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি চারটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, মেয়েদের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।

এলিট প্যানেলের আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবোরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফের (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত (বাংলাদেশ), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন ( ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।

এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS