ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাইনচ্যুত হওয়া মালবাহী ট্রেনের ওয়াগন উদ্ধার ও রেললাইন মেরামত শেষে ৩১ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম-সিলেটের সাথে ঢাকামুখী আপলাইনটিকে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, লাইনচ্যুত হওয়া ওয়াগন উদ্ধারকাজ শেষ করার পর রেললাইন মেরামত, স্লিপার বসানো ও টেকনিক্যাল কাজ শেষে রাত ৮টার দিকে ঢাকামুখী আপলাইনে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়েছে। আপলাইনে আপাতত ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হয়েছে। তবে উদ্ধারকাজ চলাকালীন সময়ে আপলাইনে ট্রেন চলাচল না করলেও ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
এর আগে আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী ট্রেনের সাতটি ওয়াগনের উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়। ওয়াগনগুলো উদ্ধার করে পাশের তালশহর স্টেশনে রাখা হয়েছে।
এদিকে মালবাহী ট্রেনের ওয়াগন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা খাইরুল কবিরকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় সঙ্কেত প্রকৌশলী মো: সৌমাক শাওন, বিভাগীয় প্রকৌশলী ঢাকা-২ সিরাজ জিন্নাত ও বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো: রাসেল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে তীব্র গরমে জেলা শহরের দাড়িয়াপুর এলাকায় লাইন বাঁকা হয়ে মালবাহী ট্রেনের সাতটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে যায়।