যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার অভাবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারাচ্ছে বলে যখন জল্পনাকল্পনা চলছে, ঠিক তখনই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজের দেশের সামরিক শক্তি সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিলেন।
ফ্রান্সের বিএফএম টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গত তিন মাস আগের তুলনায় যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের অবস্থান অনেক মজবুত হয়েছে।ফলে পূর্বদিকে রাশিয়া আর নতুন করে জমি দখল করতে পারছে না।
জেলেনস্কি অবশ্য কয়েকটি নির্দিষ্ট সমস্যারও উল্লেখ করেন। বিশেষ করে গোলাবারুদের সরবরাহ কম থাকায় সৈন্যরা সমস্যায় পড়ছে। সেইসঙ্গে রাশিয়ার দূরপাল্লার অস্ত্র ও বিশাল সংখ্যায় ড্রোন হামলাও পরিস্থিতি কঠিন করে তুলছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেন।
জেলেনস্কি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বর্তমান সাফল্যে সন্তুষ্ট হলেও বিদেশ থেকে যথেষ্ট সহায়তার অভাবে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। অনেক সৈন্য হারিয়ে রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে আপাতত আর অগ্রসর হতে পারছেন না।
ভবিষ্যতেও সেই শঙ্কা দূর করার লক্ষ্যে ইউক্রেন মোট প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ তিনটি সুরক্ষার বলয় তৈরি করছে, যা অনেকটা দুর্গের মতো কাজ করবে। মজবুত সেই ফর্টিফিকেশন লাইন রাশিয়ার যেকোনো অস্ত্র দিয়েও ধ্বংস করা যাবে না বলে জেলেনস্কি দাবি করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি প্রয়োজনে ইউক্রেনে ন্যাটোর স্থলবাহিনী পাঠানোর সম্ভাবনার কথা বলে যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন, জেলেনস্কি সে বিষয়েও মন্তব্য করেন। তার মতে, ইউক্রেনের সেনেবাহিনী যতকাল সংগ্রাম চালিয়ে যেতে পারবে, ফ্রান্সের সেনাবাহিনী ফ্রান্সেই থাকতে পারবে।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ইউক্রেনের জন্য প্রায় ছয় হাজার কোটি ডলার অঙ্কের সামরিক সহায়তার প্যাকেজ আটকে থাকায় যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, তা অন্তত আংশিকভাবে দূর করতেও ন্যাটো সহযোগীদের আরও সক্রিয় হওয়ার ডাক দিয়েছেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা। সোমবার তিনি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।