অনেকেই টেনে দিয়েছিলেন তার ইতি। সাদা বলের ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দূরে ঠেলে সামনে এগোনোর প্রত্যয় ছিল বাংলাদেশের।কিন্তু লড়াই থামিয়ে দেননি এই ক্রিকেটার। গত বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়ে সেটিকে কাজে লাগিয়েছেন বেশ ভালোভাবে।
এবারের বিপিএলেও দারুণ পারফর্ম করছেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শেষবার জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলা মাহমুদউল্লাহকে এখন বলা হচ্ছে এই ফরম্যাটের ‘অটোচয়েজ’। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ওই ম্যাচে ২৪ বলে ৫১ রান করেন তিনি। এমন ইনিংস দেখে মুগ্ধ দুর্দান্ত ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি বলেন, ‘শেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ যেভাবে ব্যাটিং করল, সেটা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে, বিশেষ করে তরুণদের জন্য। ডেথে গিয়ে এরকম ব্যাটিং করা, ফ্রি ব্যাটিং করা, দারুণ। এভাবে আমরা যদি খেলতে পারি। আমরা দেশের ছেলেদের পারফরম্যান্স দেখিনি তা কিন্তু নয়। আমি অনেককে দেখেছি, জুনিয়র তামিম কিছু ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করেছে। হৃদয় করেছে। অন্যরাও অনেকে, দিপু ভালো করেছে। আমাদের নাঈমও দুটি ম্যাচে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ’
একসময় দলে ব্র্যাত্যই হয়ে পড়েছিলেন রিয়াদ। এরপর নিজে নিয়মিত পরিশ্রম করেছেন। এখন পারফর্ম করছেন। বিপিএলে ৫ ম্যাচে ৩৪.৬৬ গড় ও ১৬৫.০৭ স্ট্রাইক রেটে ১০৪ রান করেছেন তিনি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন রিয়াদ। তবে তাকে তিন ফরম্যাটেরই যোগ্য খেলোয়াড় বলছেন সুজন।
তিনি বলেন, ‘আমি তো সবসময়ই বলি, মাহমুদউল্লাহ তিন সংস্করণেই খেলার মতো যোগ্য খেলোয়াড়। আমার খুব কষ্ট যে মাহমুদউল্লাহ টেস্ট খেলে না। সে যে অবসর নিয়েছে সেটা আমি কোনভাবেই, এখনো মানতে পারি না। আমি এখনো মনে করি ওর টেস্ট খেলার মতো সামর্থ্য আছে। বাংলাদেশে এমন একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অনেক দরকার। ’
‘হয়তো ব্যক্তিগত কারণে বা বয়সও একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সে জন্য সাদা বলের দিকে মনোযোগী হচ্ছে, সেটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে এটা রিয়াদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু তার যে অভিজ্ঞতা, যে ছন্দে আছে, আমার মনে হয় ওর জায়গায় চ্যালেঞ্জ করার মতো কোন খেলোয়াড় নেই। অবশ্যই রিয়াদ টি-টোয়েন্টি দলের বিবেচনায় আসতে পারে। ’
‘মুশফিক-রিয়াদ অনেক অভিজ্ঞ। বিপিএলের ১২টা বছরে ওরা খেলছে। তবে ওদের এই পারফরম্যান্স ছোটদের জন্য উৎসাহিত করবে। বড় ভাইরা যে অ্যাটিটিউড ও ইন্টেন্সিটি নিয়ে ক্রিকেট খেলছে, সেটা সবার জন্যই শিক্ষা হতে পারে।