সামরিক অভ্যুত্থানের তিন বছরের মাথায় বুধবার যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
দেশটি মিয়ানমারের সামরিক শাসনের সঙ্গে যুক্ত চার ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা সমর্থন করে এমন রাজস্বের উৎসগুলোকে লক্ষ্য করে আমরা এ পদক্ষেপ নিচ্ছি। যারা বার্মায় (মিয়ানমার) অস্ত্র উৎপাদনের জন্য সরঞ্জাম ও সহায়তা দেয়, তারাও এ নিষেধাজ্ঞায় পড়বে।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল। সেই থেকে দেশটির সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের জনগণের ওপর সহিংসতা ও দমন-পীড়ন চালানো অব্যাহত রেখেছে।
সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় শতশ বেসামরিকের প্রাণ গেছে। মিলার বলেন, শাসক বাহিনী সারা দেশে কয়েক হাজার বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে এবং প্রায় ২৬ লাখ বাসিন্দাকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। রোহিঙ্গাসহ দুর্বল গোষ্ঠীগুলো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সামনে পড়েছে। অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অন্যায়ভাবে কারাভোগ করছেন, কেউ কেউ যাবজ্জীবন সাজা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি। শাসন ব্যবস্থার কর্মের ফলস্বরূপ, সারা দেশে মানুষ শারীরিক নিরাপত্তা, চিকিৎসা সেবা এবং শিক্ষার সুযোগের অভাব বোধ করে।
ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক মিয়ানমারের প্রতি অর্থবহ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপের জন্য পথ পরিবর্তন এবং অবস্থান তৈরি করে দেওয়ার জন্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।