নিউরালিংক কর্পোরেশন মানব মস্তিষ্কে কম্পিউটার ‘ইমপ্ল্যান্ট’ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি তারবিহীন চিপের সফল পরীক্ষা চালিয়ে বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক।
একজন রোগীর মাথায় চিপ বসানোর পর প্রাথামিক ফলাফলে আশাব্যঞ্জক নিউরো সংবেদনশীলতা লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।খবর বিবিসি
ছয় বছর আগে রোবটের সাহায্যে মানব মস্তিষ্কের যে অংশ অঙ্গ নাড়াচাড়া করার কাজ করে সেই অংশে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মানুষের চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম ৬৪টি থ্রেড বা সুতোর বসিয়ে এই কাজের যাত্রা শুরু হয়।
নিউরোলিংক বলছে এই থ্রেডগুলো চিপটির মস্তিষ্কের সংকেতগুলোকে একটি অ্যাপে রেকর্ড এবং প্রেরণ করতে পারে যা ডিকোড করে ব্যক্তির অকেজো অঙ্গ নাড়াচাড়া করাতে সাহায্য করে। চিপটির ব্যাটারি ওয়্যারলেস পদ্ধতিতে চার্জ করা যায়।
ইলন মাস্কের নিউরোলিংক ছাড়াও আরও বেশ কিছু কোম্পানি এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তবে নিউরোলিংকের চিপগুলো ডিজাইন করা হয়েছে মস্তিষ্কের সংকেতগুলোকে যথাযথভাবে বুঝে ব্লুটুথের মাধ্যমে সংযুক্ত ডিভাইসে পাঠানো উদ্দেশ্যে।
নিউরোলিংকের চিপস আমাদের প্রতিদিনকার ব্যবহারের ডিভাইস গুলোর সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্ককে যুক্ত করবে। এই চিপ আমাদের মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রনিক সংকেত সংগ্রহ করে ব্লুটুথের মাধ্যমে সংযুক্ত ডিভাইসে প্রেরণ করবে। এর ফলে নিউরোলজিক্যাল কারণে যাদের হাত-পা অকেজো, তারা আবার সেই অঙ্গের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবেন।
ভবিষ্যতে এই চিপের সাহায্যে মাউস বা কি-বোর্ড ছাড়া যে কেউ মস্তিষ্কের সংকেত ব্যবহার করে কম্পিউটার চালানো যাবে।
এই চিপ মানুষের শরীর ও জীবনের ওপর কেমন ঝুঁকি তৈরি হয়, তা নিয়ে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ রয়েছে। তবে মার্কিন সংস্থা ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) মানব মস্তিষ্কে এই চিপের পরীক্ষামূলক ব্যবহার অনুমোদন করায় এটি নিয়ে জনআস্থা তৈরি হয়েছে।