নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে পিছিয়ে নেই ডালও। গত এক মাসের ব্যবধানে মসুর ডাল ছাড়া বেড়েছে অন্য সব ধরনের ডালের দাম।বিশেষ করে মুগ ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। ডালের দাম বাড়ার জন্য ডলারের মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও এর আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে প্রতি কেজি মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেসারির ডাল ১১০ টাকা, ডাবলি ৮০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৮০ টাকা, ছোলার ডাল ১১০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা ও মাসকলাইয়ের ডাল ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, এক মাস আগে প্রতি কেজি মুগ ডাল ১৩০ টাকা, খেসারির ডাল ৯০ টাকা, ডাবলি ৭০ টাকা, অ্যাংকরের ডাল ৭০ টাকা, ছোলার ডাল ৯০ টাকা, ছোলা ৯০ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা।
তবে আগের দামেই চিকন মসুর ডাল ১৪০ টাকা ও মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলেন, গত এক মাসে ডালের দাম অনেক বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেড়েছে মুগ ডালের দাম। কারণ হিসেবে তারা বলছেন ডলারের দাম বৃদ্ধি ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভারত হয়ে ডাল আসায় এর দাম বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ডাল আসতো। এখন সব ডাল ভারত হয়ে ঘুরে আসে। এতে পরিবহন খরচ বেড়েছে। আর ডাল যেহেতু আমদানি করতে হয়, ডলারের দাম বাড়ায় এর প্রভাব ডালের ওপর পড়েছে।
একই কথা জানান জাকির হোসেন নামের আরেক বিক্রেতা। তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে ডালের দাম বেড়েছে। বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। আমরা পাইকারি বাজার থেকে যে দামে কিনে আনি, তার থেকে কিছুটা লাভ রেখে বিক্রি করি। ডালের দাম বৃদ্ধির পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই।
ডালের দাম বৃদ্ধির কথা বলছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি)। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি এই সংস্থাটির মঙ্গলবারের বাজার মনিটরিংয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে প্রতি কেজি মুগ ডাল ১২৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১০০ থেকে ১৬০ টাকা এবং এক মাস আগে ছিল ৯৫ থেকে ১৩৫ টাকা। এছাড়া অ্যাংকর ডাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে একই দাম ছিল, এক মাস আগে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ছিল।