পেশাদার ক্রিকেটে নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন অ্যারন ফিঞ্চ। যদিও এভাবে হয়তো বিদায় নিতে চাননি।ক্যারিয়ারে শেষ ম্যাচে আউট হলেন শূন্য রানে।
বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন ডার্বিতে স্টারসের বিপক্ষে রেনেগেডসের হয়ে ওপেন করতে নামেন ফিঞ্চ। তৃতীয় বলেই ছন্দপতন ঘটে তার। জোয়েল প্যারিসকে তেড়ে মারতে গেলেও ব্যাটে-বলে সেভাবে সংযোগ হয়নি। মিড-অফ থেকে কিছুটা এগিয়ে সেই বল তালুবন্দী করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাতেই ইতি ঘটে ফিঞ্চের পেশাদার ক্যারিয়ারের।
বিদায়ী ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেও টি-টোয়েন্টিতে এক বর্ণিল ক্যারিয়ার লিখে গেছেন ফিঞ্চ। ৩৮৭ ম্যাচ ৩৩.৬০ গড় ও ১৩৮.১৬ স্ট্রাইকরেটে ১১ হাজার ৪৫৮ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৭৭ ফিফটিসহ সেঞ্চুরি করেছেন ৮টি। তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল ক্রিস গেইল (২২) ও বাবর আজমের (১০)। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সপ্তম।
কুড়ি ওভারের এই ফরম্যাটে কেবল তিন জন ব্যাটারই দেড়শ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন। ফিঞ্চ তাদের মধ্যে একজন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই অজি ব্যাটার। তখন এটা ছিল ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। চার বছর পর তা নতুন করে রেকর্ড গড়েন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেন ১৭২ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস। যা এখনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে।
বিগ ব্যাশেও ফিঞ্চের পারফরম্যান্স ছিল আলো ছড়ানো। ১০৭ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ২৬ ফিফটিসহ ৩ হাজার ৩১১ রান করেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার এই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তার চেয়ে বেশি রান আছে কেবল ক্রিস লিনের। আইপিএলে ততটা সফল হতে না পারলেও রেকর্ড ১১টি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলে ৯২ ম্যাচে ২ হাজার ৯১ রান করেছেন তিনি।
ফিঞ্চ সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিলেন ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে। ৫৭ ম্যাচ খেলে ৪২.১৮ গড় ও ১৫৯ ছুঁই ছুঁই স্ট্রাইকরেটে ২ হাজার ৬৭ রান করেন তিনি। আট সেঞ্চুরির মধ্যে চারটিই করেন এই লিগে। তাছাড়া দুটি বিদেশি লিগে দুই হাজারের বেশি রান করা প্রথম ব্যাটার তিনি।