নারী নিপীড়নের অভিযোগে কারাবন্দী অবস্থায় দিন কাটছে দানি আলভেসের। সেই সঙ্গে রয়েছে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের মামলাও।আর তাতে সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের সব সম্পত্তি আপাতত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
একসময় ব্রাজিল, বার্সেলোনা ও পিএসজিতে একই জার্সিতে খেলেছেন নেইমার ও আলভেস। দুজনের বন্ধুত্বও বেশ পুরনো। বন্ধুর দুর্দিনে তাই পাশে দাঁড়িয়েছেন নেইমার। নিজ উদ্যোগে স্প্যানিশ কোর্টের কাছে গত আগস্টে পাঠিয়েছেন দেড় লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা)। সেই সঙ্গে একজন আইনজীবীও নিয়োগ করেছেন আলভেসের জন্য। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ইউওএল‘ এমনটাই জানিয়েছে।
গত ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বার্সেলোনার সাটন নাইটক্লাবে বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করছিলেন আলভেস। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এবিসি জানিয়েছে, নাইট ক্লাবের বাথরুমে ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে যৌন নিপীড়ন করেন আলভেস। সাবেক বার্সেলোনা ডিফেন্ডারের এমন কাণ্ডের পর ঘাবড়ে যান সেই নারী। পরে বন্ধু ও নিরাপত্তাকর্মীদের ডাকতে শুরু করেন। বন্ধুরা তাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেন। এই ফাঁকে আলভেস ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে এক বিবৃতিতে ঘটনাটি অস্বীকার করেন তিনি।
এরপর ২০ জানুয়ারি সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করে স্প্যানিশ পুলিশ। এরপর জামিন আবেদন করলেও পাবলিক প্রসিকিউটর তা দেননি। বরং পাঠানো হয় জেলে। সেই থেকে প্রায় এক বছর ধরে জেলেই আছেন তিনি। এমনকি জামিন আবেদন করেও কাজ হয়নি। পরে এই ঘটনার প্রভাব পড়ে তার ক্যারিয়ার ও পরিবারের ওপর। তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে মেক্সিকান ক্লাব পুমাস। এর সঙ্গে যোগ হয় স্ত্রীর বিচ্ছেদের মামলা। এই মামলার জন্য তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফলে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারছেন না তিনি।
ব্যাংক হিসাব বন্ধ থাকায় অভিযোগকারী তরুণীকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারছেন না আলভেস। কিন্তু ক্ষতিপূরণ না দিতে পারলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে তাকে। এমনকি হতে পারে ১২ বছরে জেলও। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের শুনানি শুরু হবে। সবমিলিয়ে ফুটবলের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা আলভেস আছেন নিদারুণ চাপে। এ অবস্থায় তার হাতে নেইমারের কাছে হাত পাতা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।
নেইমারকে একসময় বার্সেলোনা ও পিএসজিতে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে দারুণ সহযোগিতা করেছিলেন আলভেস। জাতীয় দলেও নেইমারের জন্য নিবেদিত ছিলেন এই সাবেক সেন্টার-ব্যাক। তারই প্রতিদান হিসেবে এবার অর্থের পাশাপাশি আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন নেইমার।