ওয়ার্নারের যে দিকটা ভালো লাগে খাজার

ওয়ার্নারের যে দিকটা ভালো লাগে খাজার

আগামীকাল ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নামবেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বেশ আবেগী ছিলেন তিনি।বিশেষ করে বন্ধু উসমান খাজার সম্পর্কে বলতে গিয়ে। যেমনটা খুব সচরাচর দেখা যায় না তার ক্ষেত্রে।

পাঁচ বছর বয়স থেকে ওয়ার্নারের সঙ্গে বন্ধুত্ব খাজার। বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে একসঙ্গে খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও। সিডনি টেস্টে শেষবারের মতো একসঙ্গে জুটি বাঁধবেন তারা।  

দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব থাকায় ওয়ার্নারকে বেশ ভালোভাবেই চেনেন খাজা। তবে ফক্স স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলার সময় ওয়ার্নারের আলাদা দিকটি তুলে ধরেন তিনি।  

বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘এটি কিছুটা বিশেষ ও আবেগপূর্ণ (সংবাদ সম্মেলন) ছিল, যা আমি আগে দেখিনি। সাধারণত ডেভিকে এমন রূপে দেখা যায় না। অবশ্যই সে যখন খেলে তখন ওইদিকটা আপনাদের কাছে তুলে ধরে না। সে একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। আপনারা তাকে আগ্রাসীভাবে খেলতে দেখেন। আমি  তাকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি, তাই তার তেমন রূপ আমার কাছে পরিচিত। ‘
‘ক্রিকেট মাঠে তাকে যেমন দেখা যায়, সম্ভবত সেটাই ওয়ার্নারের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার। তবে পরিবারের সামনে সে একদমই ভিন্ন একজন মানুষ। তার বাবা-মাকে অবশ্যই দীর্ঘদিন ধরে চিনি আমি এবং তার পরিবারের সঙ্গে আমার পরিবারের ভালো সম্পর্ক আছে। একসঙ্গে এতোদিন খেলা ও থাকার যাত্রাটা অদ্ভুত এবং সেই যাত্রার একটি শেষ হতে চলেছে। সে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলা বন্ধ করে দিয়েছে এবং এর পেছনে অনেক সময় ও পরিশ্রম দিয়েছে সে। ‘

ওয়ার্নারের ছেলেবেলা সম্পর্কে খাজা বলেন, ‘সত্যি বলতে ছোটবেলায় সে ভয়ানক ছিল। একটি গল্প আমার সবসময় বলতে ইচ্ছে করে যে আমরা চা পানে অভ্যস্ত ছিলাম এবং তখন সবসময় তার নজর ছিল চেরির দিকে। সেই বুদ্ধিমান মানুষ এবং জানত সেই চেরিগুলোতে রস আছে। তাই আমরা চেরি তুলে বাকি লোকেদের কাপড়ে লাগিয়ে দিতাম। দিনশেষে মায়েদের বকা শুনতে হতো। কারণ সেই চেরির দাগ মোছাটা অসম্ভব ছিল। ‘

‘সে সবসময়ই আগ্রাসী ও ইতিবাচক ছিল। স্পিনারদের ওপর চড়াও হতে ভালোবাসে এবং চেষ্টা করে প্রথম বলেই ছক্কা মারার। ‘

ওয়ার্নারের সঙ্গে কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের তুলনা দিয়ে খাজা বলেন, ‘সে কিছুটা ওয়ার্নির মতো। মানুষকে সমবর্তিত করতে পারে। ওয়ার্নিকে যেমন অস্ট্রেলিয়ার প্রচুর মানুষ ভালোবাসে। আবার আমার বেড়ে ওঠার সময় এমন অনেককেই দেখেছি যারা ওয়ার্নিকে অপছন্দ করে। ওয়ার্নারও তেমনই। আপনি তাকে ভালোবাসুন বা ঘৃণা করুন। এর মাঝখানে সত্যিই আর কিছু নেই। মাঠে কী ঘটে সেটা দিয়ে আপনি মানুষ বিচার করতে পারবেন না। যখন না আপনি তার সঙ্গে একই দলে খেলেন। ‘

ওয়ার্নারের সঙ্গে বন্ধুত্ব এতোটাই গভীর যে বিপদে পড়লে সবার আগে তাকেই স্মরণ করবেন খাজা, ‘আমি যদি কখনো সমস্যায় পড়ি গুটিকয়েক মানুষের তাকেই প্রথমে কল দেব আমি। কারণ আমি জানি, সে আমাকে সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। সে তেমন ধরনের মানুষ যেটা আপনারা তার ভেতর দেখেন না। সেও খুব বেশি মানুষের সামনে তা দেখায় না। তাই মাঠে মানুষ যা দেখে তা দিয়েই নিজের মনে ধারণা তৈরি করে। ‘

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS