আইপিলএলের এবারের আসরে দুর্দান্ত খেলছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ছিল টেবিলের শীর্ষে। তবে ৭ম ম্যাচে গুজরাটের সল্প সংগ্রহ পেরুতে পারেনি লোকেশ রাহুলের দল। ৭ রানে হেরে শীর্ষস্থান হারাল সুপার জায়ান্টস।
টস জিতে আগে ব্যাটে নেমে খুব বেশি রান করতে পারেনি গুজরাট টাইটান্স। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস বোলারদের কিপটে বোলিংয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে ৬ উইকেট হারিয়ে। ছোট্ট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১২৮ রান সংগ্রহ করে লক্ষ্ণৌ। গুজরাটের বিপক্ষে হারায় ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে রানরেটে পিছিয়ে টেবিলের দুইয়ে নামল সুপার জায়ান্টস। এক ম্যাচ কম খেল সমান জয়ে রান রেটে এগিয়ে শীর্ষে রাজস্থান রয়্যালস। গুজরাটের পয়েন্টও সমান। তবে রানরেটে পিছিয়ে থেকে চারে অবস্থান তাদের।
লক্ষ্ণৌর মাঠে শুরুতেই উইকেট হারায় গুজরাট। ১.২ ওভারে রানের খাতা না খুলেই ফেরেন শুভমন গিল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৮ রান সংগ্রহ করে সফরকারী দল। দলীয় ৭২ রানে ফেরেন ঋদ্ধিমান শাহা। ৩৭ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। এরপর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডে ছাড়া কেউ উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। ৫০ বলে ৬৬ রান করেন তিনি। শেষ অবধি নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে দিল্লি সংগ্রহ করে ১৩৫ রান।
লক্ষ্ণৌর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন স্টোনিস ও কুর্নাল পান্ডে।
জবাবে ব্যাটে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় লক্ষ্ণৌ। প্রথম উইকেট জুটিতে আসে ৫৫ রান। ৬.৩ ওভারে ফেরেন ওপেনার কেইল মায়ার্স। ১৯ বলে ২৪ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে ১০৬ রানে। ১৪.৩ ওভারে ফেরেন কুর্নাল পান্ডে। ২৩ বলে ২৩ রান করেন তিনি।
১৬.৫ ওভারে দলীয় ১১০ রানে ফেরেন নিকোলাস পুরান। ৭ বলে ১ রান করেন তিনি। ১৯.২ ওভারে ফেরেন একপ্রান্ত আগলে রাখা লোকেশ রাহুল। ৬১ বলে ৬৮ রান করেন লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক। পরের তিন বলেই আরও তিন উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। দুই ব্যাটার হয়েছিলেন রান আউটের শিকার। শেষ অবধি ৭ উইকেটে ১২৮ রানে শেষ হয় সুপার জায়ান্টসদের ইনিংস।
গুজরাটের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোহিত শর্মা ও নূর আহমেদ। এছাড়া রাশিদ খান নিয়েছেন একটি।