তরুণ মেয়েদের স্বাধীন ও পুঁজিবাদ-বিরোধী সংস্থা একটি জার্মান নারীবাদী সংগঠন জোরা।
গত ১২ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামে জোরা একটি পোস্ট করে।সেখানে বলা হয়, ফিলিস্তিনের মুক্তি ছাড়া নারীদের মুক্তি সম্ভব নয়।
অপর এক বিবৃতিতে জোরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস পিতৃতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে না। সেরকম কোনো ইচ্ছে তাদের নেই। তাই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের অংশ হিসাবে পিএফএলপি-র মতো প্রগতিশীল শক্তিকে শক্তিশালী করতে হবে।
এছাড়া গত ১৫ ডিসেম্বর এই জোরা ফিলিস্তিনি সহমর্মিতা ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ক্ষেত্রে জার্মানির দমননীতির নিন্দা করেছিল। তারা বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থিদের তল্লাশির কথা উল্লেখ করেছিল। তারা জানায়, সামিডুন ফিলিস্তিন প্রিজনার্স নেটওয়ার্ককে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর তল্লাশির সংখ্যা বেড়েছে।
এর পর গত বুধবার জার্মানির পুলিশ বার্লিনে জোরার সদস্যদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায়।
জোরার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চরম বামপন্থি পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন(পিএফএলপি)-কে সমর্থন করে। পিএফএলপি-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে চিহ্নিত করেছে ইইউ ও আমেরিকা। জোরা পিএফএলপি-র প্রতীক ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ আছে।
পুলিশ ট্রেড ইউনিয়ন জিডিপি-র প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বার্লিনের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ তল্লাশি চালায়। তারা প্রায় দুইশ জন অফিসার এই তল্লাশিতে অংশ নেন। খবর ডয়চে ভেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
এমএম