বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই আঙুলে চোট নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে আলোচনায় এসেছেন টাইগারদের অধিনায়ক। কিন্তু ক্রিকেট থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কার্যালয়ে হাজির সাকিব।
সাকিব আল হাসান ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এই দুইজনের আসার খবরে স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে বৃদ্ধি পায় সংবাদকর্মীদের ভিড়। মিরপুরে এসে কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা বলেছেন সাকিব।
বিসিবি কার্যালয়ে হাজির হয়ে কিছুক্ষণ ক্রিকেট অপারেশন্স রুমে অবস্থান করেন সাকিব। এরপরেই হেডকোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে, জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর ও নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন টাইগার অধিনায়ক।
বিসিবিতে সাকিব এসেছিলেন আঙুলে ব্যান্ডেজ নিয়েই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আঙুলের চোটেই বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল সাকিব। এই ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ থেকেও।
বিসিবির চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, সাকিব আজ মূলত বিসিবিতে গিয়েছিলেন আঙুলে লাগানো স্প্রিং বদলানোর জন্য। সে সময় তিনি জানান, কমপক্ষে তিন সপ্তাহ আঙুলে ব্যান্ডেজ নিয়েই ঘুরতে হবে সাকিবকে, যার দুই সপ্তাহ এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে। অর্থ্যাৎ আরও এক সপ্তাহ আঙুল ব্যান্ডেজ করাই থাকবে তার।
সেই চিকিৎসক আরও জানান, সাধারণত তিন সপ্তাহ পর ব্যান্ডেজ খুলে এক্স-রে করা হয়। সে হিসেবে আর এক সপ্তাহ পরে সাকিবের চোট পাওয়া আঙুল এক্স-রে করা হবে। এরপরেই তার ইনজুরির সবশেষ অবস্থা নিয়ে জানা সম্ভব।
আগামী ১১ অথবা ১২ ডিসেম্বর ফিরতি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে যাওয়া সেই সফরে সাকিবকে পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। সে সিরিজে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নির্ভর করছে এক সপ্তাহ পর আঙুলের এক্স-রে করার পরই।
ভারতের মাটিতে ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরে দিন কয়েক পরেই যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে পাড়ি দিয়েছিলেন সাকিব। সেখানে থাকতেই কেনেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন আসনের মনোনয়ন ফরম। গতকাল দেশে ফিরেই সোজা আওয়ামী লীগের অফিসে গিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে এসেছেন।