প্রায় একাই চেষ্টা করে গেলেন স্কট এডওয়ার্ডস। এর আগে যেমনটা করেছিলেন শ্রীলঙ্কার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে রান তাড়ায় নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক লম্বা সময় সঙ্গ দেওয়ার মতো কাউকে পেলেন না। উইকেটের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে সতীর্থদের বিদায়ই দেখে গেলেন এডওয়ার্ডস। দেখলেন অল্পের জন্য জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হতে।
হাতছাড়াই বটে!
২১৪ রান তুললেই শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারত নেদারল্যান্ডস। সম্ভাবনা জাগিয়েও ডাচদের দৌড় থেমে গেল ১৯২ রানে। উত্থান–পতনের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার জয় ২১ রানে। এই জয়ের সুবাদে ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বের পথে এক পা এগিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
হাতে থাকা দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই নিশ্চিত বিশ্বকাপের টিকিট। একই সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে আছে জিম্বাবুয়েও। বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী দুই দল জায়গা করে নেবে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের এগিয়ে যাওয়ার অর্থ সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় শেষ। সুপার সিক্সে তিন ম্যাচ জিততে তো হবেই, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে যেন নিজেদের পরের দুটি ম্যাচে হারে, সেই আশায়ও থাকতে হবে।
বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শ্রীলঙ্কার দিনটা শুরু হয়েছিল প্রথম বলেই পাতুম নিশাঙ্কার উইকেট হারিয়ে। যার পরপর ফেরেন কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিত আসালাঙ্কাও। ৩৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা তখন রীতিমতো কাঁপছে। সেই কাঁপাকাঁপিতে উদ্ধারকর্তা হয়ে মাঠে নামেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
আরেক প্রান্তে দিমুথ করুনারত্বে, দাসুন শানাকা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারা খুব বেশি সময় সঙ্গ দিতে না পারায় একপর্যায়ে ১৩১ রানে সপ্তম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে মহিশ তিকশানাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলঙ্কার রান ২০০ পার করান ধনাঞ্জয়া। ৮০ বলে ৭৭ রানের জুটিতে তিকশানার অবদান ২৮, বাকিটা ধনাঞ্জয়ার।
নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১১১ বলে ৯৩ রান করে যান ধনাঞ্জয়া। দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে নিয়ে যাওয়া ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছয়।
স্বল্প রানের তাড়ায় নেদারল্যান্ডসের শুরুটাও ছিল শ্রীলঙ্কার মতোই, দ্বিতীয় বলেই আউট বিক্রমজিৎ সিং। একপর্যায়ে ১৩৩ রানে পতন হয় সপ্তম উইকেটের। সেখান থেকে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান এডওয়ার্ডস।
এর মধ্যে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান আরিয়ান দত্তকে নিয়ে গড়েন ১৬ রানের জুটি। শানাকার বলে আরিয়ান বোল্ড হলে অপর প্রান্তে ৬৮ বলে ৬৭ রানের লড়াকু ইনিংস নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ডাচ অধিনায়ককে।
গ্রুপ পর্ব থেকে নিয়ে আসা ৪ পয়েন্টের সঙ্গে সুপার সিক্স পর্বের প্রথম ম্যাচে জয় মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৬। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট জিম্বাবুয়েরও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৪৭.৪ ওভারে ২১৩ (ধনঞ্জয়া ৯৩, করুনারত্নে ৩৩, তিকশানা ২৮, হাসারাঙ্গা ২০; ফন বিক ৩/২৬, ডি লিডি ৩/৪৩)।
নেদারল্যান্ডস: ৪০ ওভারে ১৯২ (এডওয়ার্ডস ৬৭*, বারেসি ৫২, ডি লিডি ৪১; তিকশানা ৩/৩১, হাসারাঙ্গা ২/৪৬)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ২১ রানে জয়ী।