সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে রিট করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মঙ্গলবার রিটটি দায়ের করা হয়।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় অসত্য তথ্য দিয়েছেন—এমন দাবি করে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে সিলেট সিটি করপোরেশের বাসিন্দা এ কে এম আবু হুরায়রা (সাজু) রিটটি করেন। তফসিল অনুসারে, বুধবার সিলেট সিটি নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, হলফনামায় অসত্য তথ্য দেওয়ায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রার্থিতা বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ১২ জুন আবু হুরায়রা আবেদন করেন। এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে ১৯ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান। এতে ফল না পেলে রিটটি করেন হুরায়রা।
রিট দায়ের করার বিষয়টি জানিয়ে হুরায়রার আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাঁর হলফনামায় জন্মতারিখ ১৯৭০ সালের ১ জুন উল্লেখ করেছেন। অথচ তাঁর এসএসসি পরীক্ষার সনদপত্রে জন্মতারিখ ১৯৭২ সালের ১ জুন। এসএসসির সনদে উল্লেখিত জন্মতারিখে ও হলফনামায় দেওয়া জন্মতারিখে গরমিল আছে। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতায় “বিএ (অনার্স) ব্যবসা” উল্লেখ করেছেন। অথচ এমন কোনো ডিগ্রি নেই। এই সনদের সত্যায়িত অনুলিপি তিনি হলফনামায় সংযুক্ত করেননি। অথচ স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিধিমালা অনুসারে সর্বোচ্চ শিক্ষগত যোগ্যতার সত্যায়িত অনুলিপি হলফনামার সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। আর হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে তদন্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থিতা বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন। এসব দিক তুলে ধরে রিটটি করা হয়। বিচারপতি জাফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর বুধবার শুনানি হতে পারে।’