রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় শত্রুতা করে তিন মৎস্য খামারির ছয়টি পুকুরে বিষ প্রয়োগে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি হাট বসানোকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে শুক্রবার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিরা।
ক্ষতিগ্রস্ত তিন মৎস্য খামারি হলেন উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের আচিনঘাটের আসাদুল ইসলাম, আয়েন উদ্দিন ও রেজাউল করিম। এর মধ্যে আসাদুল ইসলামের তিনটি, আয়েন উদ্দিনের দুটি ও রেজাউল করিমের একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরগুলো আচিনঘাট ও কোমান্নিতলা এলাকায় অবস্থিত।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারি আসাদুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন এলাকার পানচাষিদের সুবিধার জন্য ইউনিয়নের কোমান্নিতলায় হাট বসিয়েছেন। এতে একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়। তারা হাট বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়। তাঁদের ক্ষতি করারও হুমকি দিয়ে আসছিল একটি পক্ষ। মাছ মেরে ফেলে তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁরা ব্যবসায়িকভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এই বিষয়ে তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নেবেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের ভাষ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা পুকুরে তরল বিষ ঢেলে দেয়। এতে বিষক্রিয়ায় পুকুরে থাকা কার্পজাতীয় মাছ মরে ভেসে ওঠে। কিছু মাছ মরে পানির নিচে তলিয়ে যায়। আজ শুক্রবার সকালে পুকুরগুলোতে পরিচর্যা ও খাবার দিতে গিয়ে মাছ মরার বিষয়টি টের পাওয়া যায়। সকালে গিয়ে পানিতে ভাসা ও তলিয়ে থাকা মাছ লোকজনকে তুলে নিতে দেখা যায়। মাছ ছাড়াও পুকুরের পানিতে থাকা সাপ ও অন্যান্য কীটও মরে ভাসতে দেখা গেছে। এতে তাঁদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মী শাহজাহান সরদার প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তিনি পুকুরগুলো পরিদর্শন করে পানি পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন। বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।
এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।