২০২৫-এ শোবিজ হারিয়েছে যেসব নক্ষত্র

২০২৫-এ শোবিজ হারিয়েছে যেসব নক্ষত্র

জন্মালে মৃত্যুর স্বাদ নিতেই হবে। তবে কিছু মানুষের প্রস্থান অপূরণীয় ক্ষতি। ২০২৫-এ দেশের শোবিজের এমন অনেককেই হারিয়েছি আমরা। চলচ্চিত্র, সংগীত, নাটক ও সামগ্রিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের এমন কিছু নক্ষত্রের নামই বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

অঞ্জনা রহমান
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে ১৫ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি।

নায়িকা অঞ্জনা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।

‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেন অঞ্জনা। তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।

প্রবীর মিত্র 
ঢাকাই সিনেমার ‘রঙিন নবাব’ খ্যাত প্রবীর মিত্র চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ‘লালকুটি’ থিয়েটার গ্রুপে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু। পরবর্তীতে পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে ‘জলছবি’ শিরোনামে সিনেমার মধ্য দিয়েছে বড়পর্দায় তার অভিষেক হয়।

ক্যারিয়ারের শুরুতে নায়ক চরিত্রে দেখা গেলেও বেশির ভাগ সিনেমায় চরিত্রাভিনেতা হিসেবে দেখা মিলেছে তার। অভিনয়ের বাইরে প্রবীর মিত্র ষাটের দশকে ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট খেলেছেন, ছিলেন অধিনায়ক।একই সময় তিনি ফার্স্ট ডিভিশন হকি খেলেছেন ফায়ার সার্ভিসের হয়ে। এ ছাড়া কামাল স্পোর্টিংয়ের হয়ে সেকেন্ড ডিভিশন ফুটবলও খেলেছেন।

‘জলছবি’ সিনেমার পর একই পরিচালকের ‘জীবন তৃষ্ণা’ সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘চাবুক’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

সন্‌জীদা খাতুন
ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, দেশের সংস্কৃতি অঙ্গণের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সঙ্গীতজ্ঞ সন্‌জীদা খাতুন ২৫ মার্চ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের মেয়ে সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। দীর্ঘদিন অধ্যাপনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে তিনি অবসর সন্‌জীদা খাতুন।

সন্‌জীদা খাতুন যখন কলেজের শিক্ষার্থী, তখন থেকেই পড়াশোনা, আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি গানের চর্চা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই সন্‌জীদা খাতুন সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই তিনি রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর সাভারের জিরাব গ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। তার সঙ্গে কয়েকজন সাংস্কৃতিক কর্মীও ছিল। তারা ভারতের আগরতলা শহরে কিছুদিন অবস্থান করেন। তারপর ৫ মে, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রবেশ করে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সাংস্কৃতিক কর্মীদের একতাবদ্ধ করা শুরু করেন।

সন্‌জীদা খাতুন মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)সহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২১ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে।

গুলশান আরা আহমেদ
চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল মারা যান ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক নাটক দিয়ে আলোচিত অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ‘হৃদয়ের কথা’, ‘ডাক্তার বাড়ি’, ‘ভালোবাসা আজকাল’, ‘লাল শাড়ি’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। সর্বশেষ সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।

মুস্তাফা জামান আব্বাসী
বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী  ১০ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে লোকসংগীত নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। তিনি ২৫টির বেশি দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, নজরুলগীতি পরিবেশন করে বাংলাদেশের সংগীতকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বদরবারে।

মুস্তাফা জামান আব্বাসীর বাবা আব্বাসউদ্দীন আহমদ ছিলেন পল্লিগীতির অগ্রপথিক। এ দেশের পল্লিসংগীতকে তিনিই বিশ্বের দেশে দেশে প্রথম জনপ্রিয় করেছেন। চাচা আবদুল করিম ছিলেন পল্লিগীতি ও ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালির জনপ্রিয় শিল্পী। বোন ফেরদৌসী রহমান ও ভাতিজি নাশিদ কামালও সংগীতাঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত।

দীর্ঘ কর্মজীবনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী।

সাঙ্কু পাঞ্জা
গত ২৯ মে বাংলাদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকাই সিনেমার খল অভিনেতা সাঙ্কু পাঞ্জা। জন্মসূত্রে সাঙ্কু পাঞ্জার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন। ‘প্রেম কয়েদি’, ‘মনের জ্বালা’, ‘দুর্ধর্ষ’, ‘ধর মাস্তান’সহ অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই খল অভিনেতা।

তানিন সুবহা
বর্তমান সময়ের নায়িকা তানিন সুবহা ২ জুন বুকে ব্যথা নিয়ে বনশ্রীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ১০ জুন চিকিৎসকেরা জানান, সুবহার হৃদ্‌যন্ত্র কিছুটা সচল থাকলেও তার মস্তিষ্ক আর কাজ করছিল না। ফলে তাকে ক্লিনিক্যালি ডেথ ঘোষণা করা হয়।

২০১২ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ ও ‘ম্যাঙ্গোলি নাচো বাংলাদেশ নাচো’ প্রতিযোগিতায় নাম লেখান তানিন সুবহা। এরপর বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে শোবিজে নাম লেখান তিনি। অভিনয় করেন নাটক ও সিনেমায়। ‘মাটির পরী’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়, এরপর নাম লেখান বেশ কিছু সিনেমায়। বর্তমানে এই নায়িকার বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষা।

জীনাত রেহানা
‘সাগরের তীর থেকে’ গানের শিল্পী জীনাত রেহানা গেল ২ জুলাই মারা যান। ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি। ১৯৬৮ সালে তার গাওয়া ‘সাগরের তীর থেকে’ গানটি বেতারে জনপ্রিয়তা পায়। তার গাওয়া দর্শকপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে, ‘একটি ফুল আর একটি পাখি বলত কী নামে তোমায় ডাকি’, ‘আমি কাঁকন দিয়ে ডেকেছিলাম মুখে লজ্জা ছিল বলে’, ‘কপালে তো টিকলি পরব না’, ‘আমি যার কথা ভাবছি মনে আনমনে’, ‘আমায় যদি ডাকো কাছে’, ‘কণ্ঠবীণা’, ‘মনে রেখো স্মৃতি থেকে’।

এ কে রাতুল
চিত্রনায়ক জসীমের মেজ ছেলে রক ব্যান্ড ‘ওন্ড’-এর ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও শব্দপ্রকৌশলী এ কে রাতুল ২৭ জুলাই মারা যান। ২০১৪ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ ও ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে ইপি ‘এইটিন’। রাতুল অন্য ব্যান্ডেও কাজ করেন। তিনি অর্থহীনের ফিনিক্সের ডায়েরি-১-এর সাউন্ডের কাজ করেছেন। রাতুল ‘ট্রেনরেক’ ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের সঙ্গে ছিলেন। 

জাহানারা ভূঁইয়া
গেল ২৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার একটি হাসপাতালে ৬৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জাহানারা। সত্তর ও আশির দশকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি জাহানারা গীতিকার, নির্মাতা এবং প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র পরিচালক স্বামী সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার ‘নিমাই সন্ন্যাসী’ সিনেমায় প্রথম গান লেখেন তিনি। আশির দশকে ‘সৎমা’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পান। এরপর তিনি শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেন। পরিচালনা করেছেন কয়েকটি চলচ্চিত্রও। ‘সিঁদুর নিও না মুছে’ তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবি। 

ফরিদা পারভীন
কিংবদন্তি লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন গেল ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। তিনি গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর।

ক্যারিয়ারের শুরুতে দেশাত্মবোধক গান গাইলেও তার পরিচয় গড়ে ওঠে লালনকন্যা হিসেবে। তার কণ্ঠে ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘অচিন পাখি’ গানগুলো আজও বাঙালির চেতনার অংশ হয়ে আছে। লালনগীতিকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিতে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।

শেখ নজরুল ইসলাম
গেল ২২ নভেম্বর  ‘চাঁদের আলো’ সিনেমার নির্মাতা শেখ নজরুল ইসলাম মারা গেছেন। এসময় তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। জহির রায়হান ও খান আতাউর রহমানের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু করেন শেখ নজরুল ইসলাম। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘চাবুক’ ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘নদের চাঁদ’, ‘এতিম’, ‘নাগিন’, ‘মাসুম’, ‘ঈদ মোবারক’, ‘আশা’, ‘পরিবর্তন’, ‘নতুন পৃথিবী’, ‘দিদার’, ‘সালমা’, ‘বউ শাশুড়ি’, ‘কসম’, ‘বিধাতা’, ‘স্ত্রীর পাওনা’, ‘চাঁদের হাসি’, ‘চক্রান্ত’, ‘সিংহ পুরুষ’, ‘সব খতম’ প্রভৃতি।

অভিনেতা হিসেবেও তার উপস্থিতি ছিল। ষাটের দশকে জনপ্রিয় সিনেমা ‘সাত ভাই চম্পা’ সিনেমায় অভিনয় করেন শেখ নজরুল ইসলাম। এছাড়া জহির রায়হানের ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ (অসমাপ্ত) সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের পাশাপাশি একটি চরিত্রেও অভিনয় করেন।

সেলিম হায়দার
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২৭ নভেম্বর রাতে মারা গেছেন দেশের নন্দিত গিটারিস্ট সেলিম হায়দার। তিনি ফিডব্যক ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। দেশের প্রখ্যাত বেশির ভাগ শিল্পীর সঙ্গে বাজিয়েছেন তিনি।

জেনস সুমন
২৮ নভেম্বর মারা যান কণ্ঠশিল্পী জেনস সুমন। ‘একটি চাদর হবে’ এই একটি গানই তাকে দেশের ঘরে ঘরে পরিচিত করে তোলে। ১৯৯৭ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘আশীর্বাদ’ প্রকাশের পর একের পর এক শ্রোতাপ্রিয় অ্যালবাম উপহার দেন সুমন।

২০০২ সালে বিটিভির একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে প্রচারের পর সাড়া ফেলে ‘একটা চাদর হবে’ গানটি। রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন গানটির গায়ক জেনস সুমন। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘আশীর্বাদ’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। তারপর একে একে আসে ‘আকাশ কেঁদেছে’, ‘অতিথি’, ‘আশবাদী’, ‘একটা চাদর হবে’, ‘আয় তোরা আয়’, ‘চেরি’ ইত্যাদি।

২০০৮ সালে প্রকাশিত হয় তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘মন চলো রূপের নগরে’। এরপর কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ১৬ বছরের বিরতি ভেঙে ২০২৪ সালে প্রকাশ পায় তার গান ‘আসমান জমিন’।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS