বাংলাদেশের তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক সংগ্রামের আপসহীন নেত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জানাজায় অংশ নিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে দাবি করেছেন বেক্সিমকোর আইটি বিভাগে কর্মরত মো. আসিফ। শুধু তাই নয় আমার এই জীবনে তিনবার আমি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে করমর্দন করেছি। যা আমার স্মৃতি কোঠায় অম্লান হয়ে আছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয় সরণিতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এটাই ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জানাজা দাবি করে আসিফ বলেন, ১৯৮১ সালের মে মাসে আমি বরিশাল থেকে খালার বাসা আসাদ গেটে বেড়াতে আসি। ঠিক সেই সময় জানতে পারি জিয়াউর রহমান মারা গেছেন। সকালে আমি আমার খালুর সঙ্গে জানাজায় অংশ নিতে আসি। মানুষের ভিড় এতো ছিল যে আমাদের আসাদ গেটের ওই প্রান্তেই জানাজা পড়তে হয়।সেদিন এতো ভিড়ের মধ্যে আমার স্যান্ডেল ছিঁড়ে যায় এবং ভিড় সামলাতে না পেরে আমি খালুদের হারিয়ে ফেলি। পরে অনেক কষ্টে বাড়ি ফিরতে হয়। সেদিন আর কবর জিয়ারত করতে পারিনি। পরের দিন এসে কবর জিয়ারত করেছিলাম।
আজও দীর্ঘ সময় পর বেগম খালেদা জিয়ার জানায় অংশ নিলাম। কয়েক লাখ মানুষ এখানে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা সর্ববৃহৎ জানাজা বলে আমি মনে করি।
আমি একজন সৌভাগ্যবান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছোট বেলায় আমি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে করমর্দন করেছি তিনবার। বরিশাল জেলা স্কুলে পড়তাম সেখান থেকে বানারীপাড়ায় খাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধনের দিন আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।সেখানে প্রথমবার আমি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে করমর্দন করি।
এরপর বরিশাল সার্কিট হাউজে গাঁ ঘেঁষে আমাদের স্কুল, তিনি সার্কিট হাউজের ভেতর থেকে গাড়িতে না উঠে হাঁটতে হাঁটতে বাইরে চলে এলেন। এ সময় আমরা স্কুল মাঠে ছিলাম তিনি আমাদের সঙ্গে করমর্দন করলেন। তিনি শিশুদের ভালোবাসতেন, আমাদের উদ্দেশ্য করেই তিনি গাড়িতে না চড়ে পায়ে হেঁটে চলে আসেন এবং তৃতীয় বার বরিশাল কসাই মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম তখন রাষ্ট্রপতিও ওই মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। নামাজ শেষে আমরা সবাই সারিবদ্ধ হয়ে দুটো লাইন করে দাঁড়িয়ে পড়ি। তিনি বের হওয়ার সময় আমাদের সঙ্গে করমর্দন করেন।
আসিফ বলেন, তখন আমি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সময় অনেক গড়িয়েছে জীবনের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি কিন্তু সেই দিনের হারানো স্মৃতি আমার হৃদয়ে সব সময় দোলা দেয়। নিমিষেই হারিয়ে যাই আমার শৈশবে। আমি কখনও রাজনীতি করিনি কিন্তু জিয়াউর রহমান আমার কাছে একটা আদর্শের নাম এবং তারেক রহমানও তার পিতার আদর্শকে লালন করে সামনের পথে এগিয়ে চলেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।