সিরিয়াকে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে কানাডা। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের প্রায় এক বছর পর এমন সিদ্ধান্ত নিল কানাডা সরকার।
আসাদ ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১২ সালে সিরিয়াকে এই তালিকায় রাখা হয়েছিল। দেশটি তখন ২০১১ সালের মার্চে শুরু হওয়া সংঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, যা প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে হত্যা করে এবং যুদ্ধ-পূর্ব ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেককে বাস্তুচ্যুত করে।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাআ দেশটিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নামও সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব সিদ্ধান্ত হালকাভাবে নেওয়া হয়নি; কানাডীয়দের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারেই থাকবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব পদক্ষেপ আমাদের মিত্রদের—যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সিরিয়ার স্থিতিশীলতা উন্নয়নে, নাগরিকদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নির্মাণে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদার ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সিরিয়া সফর করেছে।
দামেস্কে সাংবাদিকদের কাছে সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে জাতিসংঘে স্লোভেনিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি স্যামুয়েল জবোগার বলেন, প্রতিনিধিদলের লক্ষ্য ছিল আস্থা তৈরি করা। আশা করি আজ আমরা এক ধাপ এগিয়েছি।”
সূত্র: সিবিসি