জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলতি আসরে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল বিভাগ। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলেও নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করেছে দলটি। ম্যাচজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বরিশাল অধিনায়ক তানভীর ইসলাম, যিনি বল হাতে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ উড়িয়ে দেন।
ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানের মধ্যে একাই ৭ উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। আগের দিন ২ উইকেট নেওয়ার পর শেষ দিনের সকালেই আরও ৫ উইকেট শিকার করে ঢাকা শিবিরে ধস নামান তিনি। তার দাপটেই মাত্র ১০২ রানের লক্ষ্য পায় বরিশাল। রান তাড়ায় ইফতিখার হোসেনের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেট হারিয়েই সহজে টার্গেট ছুঁয়ে ফেলে দলটি। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রান করা ইফতিখার দ্বিতীয় ইনিংসেও থেকে যান অপরাজিত ৫৭ রানে।
এই ম্যাচে মোট ৯ উইকেট নেওয়ার জন্য ম্যাচসেরা’র পুরস্কার উঠেছে তানভীরের হাতে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার অষ্টম পাঁচ উইকেট ও দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
অন্যদিকে, খুলনায় ময়মনসিংহ ও খুলনার ম্যাচটি শেষ দিনে ড্রতেই নিষ্পত্তি হয়েছে। ৭ উইকেটে ৩৮৭ রান থেকে শেষ দিনের খেলা শুরু করে ময়মনসিংহ। পরে ৮ উইকেটে ৪৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। ফলে প্রথম ইনিংসে তারা নেয় ৭২ রানের লিড। জবাবে খুলনা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৪০ রান তুলতেই দুই দল ড্র মেনে নেয়।
ময়মনসিংহের হয়ে দিনের সেরা পারফরম্যান্স দেখান অভিজ্ঞ ব্যাটার আল আমিন জুনিয়র। ৬২ রান নিয়ে দিন শুরু করে এ ব্যাটার সপ্তম মৌসুম পর পূর্ণ করেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি। অপরাজিত ১০২ রানে ইনিংস শেষ করার পথে তিন হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি।
আল আমিনের সঙ্গে ১৪৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ অষ্টম উইকেট জুটি গড়েন আরিফ আহমেদ। ৮১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে তিনি অর্জন করেন নিজের প্রথম ফিফটি। খুলনার হয়ে প্রথম ইনিংসে ১৮৬ রানের বড় স্কোর করা সৌম্য সরকার দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৪৪ রান।