ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে জমে উঠতছে ঈদের বাজার। রাজধানীর মোহম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। স্বাচ্ছন্দ্যে কেনা-কাটা করার জন্য অনেকেই বেছে নিয়েছেন সন্ধ্যার সময়টা। বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতারা, জামাকাপড়, জুতা, অলঙ্কারসহ বিভিন্ন জিনিস কেনার জন্য ভিড় করছেন দোকানে দোকানে।
পরিবার নিয়ে মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা সালমা আক্তার বলেন, সারাদিন প্রচণ্ড গরমের জন্য বের হওয়া হয়নি, তাই রোজা খুলে ইফতারের পর মার্কেটে এসেছি। যদিও অনেক ভিড় মার্কেটে। তাও ঈদ বলে কেনাকাটা করছি।
মোহম্মদপুরেরই শপিংমল টোকিও স্কয়ারের চিত্রও ব্যতিক্রম নয়। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন ব্র্যান্ড দোকানগুলোতে দেয়া হয়েছে আকর্ষণীয় সব অফার। টোকিও স্কয়ারের একজন দোকান মালিক তার ক্রেতাদের জন্য রেখেছেন বিশেষ অফার।
তিনি বলেন, আমাদের দোকানে ২০ হাজার টাকার কেনাকাটা করলেই থাকছে একটি ‘গিফট বক্স’। এই গিফট বক্সে থাকছে নগদ টাকা, শাড়িসহ অনেক কিছু।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়তে থাকে দোকানগুলোতে, যেখানে রমজানের শুরুর দিকেও প্রায় ক্রেতাশূন্য ছিল মার্কেটগুলো। তবে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও ব্যবসার বাজার মন্দা বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
আশা অনুযায়ী ব্যবসায় অবস্থা মন্দা বলে বলছেন এক বিক্রেতা, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনা ভাইরাসের প্রভাব চলতে থাকায় সব জিনিসের দাম এখন বাড়তি। আমরা চাইলেও গ্রাহকদের কাছে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছি না। গত বছরের তুলনায় এবার ব্যবসার অবস্থা খারাপ।
বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও ঈদ গরমকালে হওয়ায়, ক্রেতারা কিছুটা আরামদায়ক কাপড়ের দিকে ঝুঁকছেন। মেয়েদের কাপড়ের পাশাপাশি ছেলেদের কাপড়ের দোকানগুলোতেও দেখা গেছে ক্রেতাদের আনাগোনা। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজার দর কিছুটা চড়া বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসে বাজেট নিয়ে হিমশিম অবস্থার মুখোমুখি এক ক্রেতা বলেন, যেই দোকানেই যাচ্ছি, কাপড় পছন্দ হলেও দামের জন্য কিনতে পারছি না। সবাই বলছে বিশ্ববাজারে ডলারের দাম বাড়ায় সব জিনিসের দাম বাড়ছে। কিন্তু আমরা যারা মধ্যবিত্তরা পড়ে গিয়েছি অসুবিধায়।
ঈদকে সামনে রেখে মার্কেট এবং শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকলেও বেচাকেনার অবস্থা ভালো যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে চড়া দামের জন্য অনেকে পছন্দমতো কেনাকাটা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা।