এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে সমতায় ফিরিয়েছেন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। তার গোলেই দল ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে, কিন্তু ম্যাচটি জিততে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন তিনি।ম্যাচ শেষে হংকংয়ের উন্নত স্টেডিয়াম ও সুযোগ-সুবিধা দেখে সেই আক্ষেপ যেন আরও বেড়েছে। তার মতে, দেশে এমন আধুনিক মাঠ থাকলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও ভালো ফল উপহার দেওয়া সম্ভব।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এটি রাকিবের দ্বিতীয় গোল। তবে ব্যক্তিগত সাফল্যের চেয়ে দলের জয়কেই বড় করে দেখছেন তিনি। ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে রাকিব বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে গোল করতে পেরেছি। শেষ ১৫ দিন আমরা অনেক কষ্ট করেছি, এটা তারই ফল। আমরা ম্যাচটা অনেক ভালো খেলেছি। প্রতিটা খেলোয়াড় অনেক পরিশ্রম করেছে, যার কারণে ম্যাচটা ড্র করতে পেরেছি। তবে আমরা আজকের ম্যাচটা জিততে পারতাম, কিন্তু অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি। ’
হংকংয়ের মাঠ ও অবকাঠামো দেখে নিজের হতাশার কথা লুকাননি রাকিব। উন্নত সুবিধার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানকার ফ্যাসিলিটি, স্টেডিয়াম সবকিছুই আমাদের দেশ থেকে আলাদা। এমন একটা মাঠ আমাদের প্রাপ্য। দেশের বাইরে যখন খেলতে আসি, তখন আমাদের অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে খেলতে হয়। আমাদের যদি এমন একটা মাঠ থাকত, আমরা এর থেকেও ভালো রেজাল্ট উপহার দিতে পারতাম। ’
দুই লেগ মিলিয়ে দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট থাকলেও ভাগ্যকে দুষছেন এই ফরোয়ার্ড। তিনি যোগ করেন, ‘আমরা শেষ ম্যাচ ও এই ম্যাচ—দুটোই ভালো খেলেছি। ভাগ্য পাশে থাকলে প্রথম ম্যাচটা ড্র হতো এবং এই ম্যাচটা আমরা জিততে পারতাম। আজকেও একটা ছোট ভুলে গোল হজম করার পর আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। ৪৫ হাজার দর্শকের সামনে খেলা সহজ না, আমরা সেটা সামলেছি, এটা ভেবে খুব ভালো লাগছে। ’
বিদায় নিতে হলেও দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আশা জাগাচ্ছে রাকিবকে। তার বিশ্বাস, দল ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। তিনি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে আমরা কিন্তু ভালো ফুটবল খেলেছি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটা আমরা ডমিনেট করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হেরে গেছি। শেষ দুই ম্যাচে বল পজিশনে আমরা ভালো ফুটবল খেলেছি, অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। দল দিনকে দিন উন্নতি করছে। সামনে আরও ভালো কিছু হবে।